আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ
সোমবারই আফগানিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বৈঠকে বসবে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। এমনটাই খবর আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। রবিবার কাবুল দখল নিয়েছে তালিবান। আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির সঙ্গে বৈঠকের পর স্থির হয়েছে, শান্তিপূর্ণ ভাবেই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হবে তালিবান নেতৃত্বের হাতে। তার পরই পদত্যাগ করে দেশ ছেড়েছেন গনি, খবর সে দেশের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। অনতিবিলম্বে প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল নিয়ে তালিবান নেতৃত্ব সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, শীঘ্রই কাবুল থেকে আফগানিস্তান মুসলিম আমিরশাহির ঘোষণা হবে। তার পরই আরও তৎপর হয়ে আফগানিস্তান থেকে নাগরিকদের সরাতে উদ্যোগী হল জার্মানি, ফ্রান্স, ব্রিটেন-সহ বহু দেশ। বিষয়টি নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করে দিয়েছে নয়াদিল্লিও।
আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার রাতেই বিমান পাঠিয়ে নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানির সরকার। একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, ইজিপ্ট-সহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলি। নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার কাজে এই দেশগুলিকে সহায়তা করবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। আফগানিস্তানের পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখছে ভারত। ইতিমধ্যেই দেশের নাগরিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে সাউথ ব্লকে তৎপরতা লক্ষ্য করা গিয়েছে।
বিমান চালকদের আফগানিস্তানের উড়ান পথ এড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে ব্রিটেন এয়ারওয়েজ। কাবুল বিমান বন্দর থেকে সমস্ত যাত্রীবাহী বিমান বাতিল করেছে ন্যাটো। শুধু মাত্র সামরিক বিমান চলাচলেই ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তালিবান কাবুল দখল নেওয়ার পরই আফগানিস্তানে সমস্ত কূটনৈতিক কাজকর্ম বাতিল করেছে কানাডার সরকার।