আফগানিস্তানে তালিবান-রাজ
প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির পদত্যাগের পরই আফগানিস্তানে কার্যত তালিবান রাজত্ব শুরু গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দেশ ছেড়েছেন গনিও। সেই সঙ্গে আফগানিস্তান ত্যাগ করে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিকেরা।
শীঘ্র আফগানিস্তান মুসলিম আমিরশাহির ঘোষণা হবে কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ থেকে। সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন এক তালিবান নেতা।
আশরফ গনি দেশ ছাড়়তেই প্রেসিডেন্টের প্রাসাদ দখল নিল তালিবান। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে, কাবুল শহরের ঠিক বাইরেই কারাবাঘ এলাকায় তালিবানি আক্রমণের জেরে জখম হয়েছেন ৪০ জনের বেশি।
প্রেসিডেন্ট আশরফ গনির পদত্যাগের পর খবর মিলেছিল, অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের মধ্য দিয়েই আফগানিস্তানে ক্ষমতার শান্তিপূর্ণ হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলবে। এ বার সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দুই তালিবান নেতা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কোনও রকম অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে না। ক্ষমতার পূর্ণ হস্তান্তরই চায় তারা।
পদত্যাগ করেই আফগানিস্তান ছাড়়লেন আশরফ গনি। রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখল নেওয়ার পর দুপুরের মধ্যে বিনা যুদ্ধে কাবুল দখল করে তালিবান। শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদরের সঙ্গে ৪৫ মিনিট বৈঠকের পরই পদত্যাগ করেছিলেন গনি। তার পরই সে দেশের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নিজের কোর টিম নিয়ে আফগানিস্তান ত্যাগ করেছেন তিনি।
কাবুলে তালিবানি আক্রমণের মুখে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ ছেড়েছেন আশরফ গনি। তালিবানের হাতে ইতিমধ্যেই ক্ষমতার হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই পর্ব চলাকালীন সে দেশে সরকার চালাবেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আলি আহমেদ জালালি। অর্থাৎ, ওই আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হতে চলেছেন তিনিই।
রবিবার সকালে দক্ষিণের জালালাবাদ দখলের পরই দুপুরের মধ্যে কাবুল দখল করে তালিবান। ক্ষমতা হস্তান্তর নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্টের বাসভবনে গিয়েছিল তালিবান সংগঠনের একটি প্রতিনিধি দল। প্রায় ৪৫ মিনিট বৈঠক হয়। তার পরই পদত্যাগ করেন আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালিবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে আফগানিস্তান সরকারের।