চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর
আফগানিস্তানে তালিবান সরকারকে মান্যতা দিতে পারে চিন। গত সপ্তাহে বেজিং গিয়ে চিনা বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ইয়ের সঙ্গে বৈঠক করে এসেছিলেন তালিবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর। সেই ছবি আগেই প্রকাশ্যে এসেছে। রবিবার আফগানিস্তানে তালিবান সরকারের প্রস্তুতি-পর্ব শুরু হতেই ওই ছবি নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। তালিবান প্রশ্নে চিনের এই নীতি আগামী দিনে ভারতের কাছে যথেষ্ট আশঙ্কার কারণ হয়ে উঠতে পারে বলেই মনে করছেন আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা।
চিনের বিদেশনীতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল এক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকও সম্প্রতি নেটমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘তালিবান গোটা আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করতে না পারলেও তাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাই যায়।’’ রবিবার তো দেখা গেল, কার্যত গোটা আফগানিস্তানেরই দখল নিয়ে নিল তালিবান।
আফগানিস্তানে বলপূর্বক তালিবান সরকার গঠন করলে সেই সরকারকে মান্যতা দেবে না ভারত, জার্মানি, তাজিকিস্তান-সহ বাকি দেশগুলি, কাতার জোটের পক্ষ থেকে তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেনা প্রত্যাহার-পর্ব শেষ হতেই তালিবান গোটা আফগানিস্তান দখল নেওয়ার পরও এখনও মুখ খোলেনি বাইডেন প্রশাসন। তালিবানের এই উত্থানের পিছনে ভারতের বন্ধুদেশ রাশিয়ারও হাত রয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। অন্য দিকে, পাকিস্তান তো বরাবরই তালিবানকে মদত জুগিয়ে এসেছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে নিজেদের অবস্থান নিয়ে সাউথ ব্লকে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে বলেই জানাচ্ছে ওয়াকিবহাল মহল।
শনিবারই ভারতের উদ্দেশে বার্তা দিয়ে তালিবানের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ‘‘যদি ভারতীয় সেনা আফগান সেনাকে সাহায্য করার জন্য আসে, তা হলে সেটা তাদের জন্য ভাল হবে না। আফগানিস্তানে অন্য দেশের সেনাদের সঙ্গে কী হয়েছে, সেটা সবাই দেখেছে। তারা এলে আগে থেকে সব জেনেই আসবে।’’ এরই সঙ্গে চিনের সঙ্গে সীমান্ত বিবাদের আবহে আফগানিস্তানের তালিবান সরকারকে বেজিংয়ের মান্যতাদান ভারতের অস্বস্তি বাড়াবেই মনে করা হচ্ছে।