ফাইল চিত্র।
বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করে ভোট শেষ হল রাশিয়ায়। শুক্রবার ভোটাভুটি শুরু হয়েছিল। চলল তিন দিন ধরে। দেশের পার্লামেন্ট নির্বাচনের এটাই চূড়ান্ত পর্যায়। রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ‘দুমা’র ৪৫০টি আসনে নির্বাচন হল। নির্বাচনী বিশ্লেষক ও বুথ ফেরত সমীক্ষার ইঙ্গিত, ফের ক্ষমতায় আসছে ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’-ই।
দুমার মোট আসনের তিন-চতুর্থাংশ
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সমর্থক এই ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’ দলটির দখলে। তাদের সাহায্যেই ক্রেমলিন গত বছর এমন এক আইন পাশ করেছিল যেটি মোতাবেক আরও দু’দফায় প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন পুতিন। অর্থাৎ, চাইলে ২০৩৬ পর্যন্ত মসনদে থাকতে পারবেন তিনি। এ বারও পুতিনপন্থী দলটি জিতে এলে প্রেসিডেন্টের হাত যে আরও শক্ত হবে, তার ইঙ্গিত পাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। রবিবার সন্ধে পর্যন্ত ভোটদান পর্ব চলবে। তার পরেই শুরু গণনা। আগামী কাল ফলাফলের একটা আভাস পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার নির্বাচন কমিশন।
মোট ১৪টি দলের প্রার্থীরা নির্বাচনে লড়ছেন। তার মধ্যে ‘ইউনাইটেড রাশিয়া’র এই সম্ভাব্য জয়ের পিছনে প্রধান কারণ অবশ্যই ক্রেমলিনের দমন-পীড়ন নীতি। প্রধান বিরোধী নেতা আলেক্সেই নাভালনিকে জেলবন্দি করাই শুধু নয়, তাঁর দলের অন্য নেতাদের ভোটে লড়াও বন্ধ করে দিয়েছে মস্কো। জেলের ভিতরে থেকেই একটি ‘স্মার্ট ভোটিং অ্যাপ’ তৈরি করেছিলেন নাভালনি। দিন তিনেক আগে ক্রেমলিনের চাপে সেই অ্যাপটি তাদের ‘ই-স্টোর’ থেকে সরিয়ে নেয় অ্যাপল ও গুগল।
এর আগের কয়েকটি নির্বাচনে ‘অর্গ্যানাইজ়েশন ফর সিকিয়োরিটি অ্যান্ড কো-অপারেশন ইন ইউরোপ’ নামের একটি ইউরোপীয় নজরদারি সংস্থা রাশিয়ায় আসত। এ বার সেই সংস্থার উপরেও ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছে মস্কো। আর একটি নজরদারি সংস্থা ‘গ্যালোস’-এর দাবি, এর মধ্যেই প্রায় ১৮০০টি ভোটে কারচুপির ঘটনা তাদের নজরে এসেছে।