coronavirus

Coronavirus: ল্যাবেই তৈরি করোনা: রিপোর্ট

৪২ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে যে ভাইরাস, তার উৎস জানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২১ ০৭:৩৩
Share:

ফাইল চিত্র।

, ৩ অগস্ট: ফের কাঠগড়ায় চিনের উহান ল্যাব! আমেরিকান কংগ্রেসের এক রিপাবলিকান আইনপ্রণেতার প্রকাশিত তদন্ত-রিপোর্টেও দাবি করা হল— নভেল করোনাভাইরাস বা সার্স-কোভ-২ একটি জেনেটিকালি মডিফায়েড (গবেষণাগারে জিনগত পরিবর্তন করা) ভাইরাস। উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষণাগার থেকে এটি কোনও ভাবে ছড়িয়ে পড়েছিল।

Advertisement

‘হাউস ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটি’-র সদস্য, টেক্সাসের রিপাবলিকান আইনপ্রণেতা মাইকেল ম্যাকল ভাইরাসের উৎসের সন্ধানে একটি তদন্ত শুরু করেছিলেন। তৃতীয় কিস্তিতে তার রিপোর্ট পেশ করেছেন। তাঁর বক্তব্য, গোটা বিশ্বের জানা উচিত, অতিমারির বিপদ কোন দিক থেকে এসেছে।

আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনও এ বিষয়ে একটি তদন্ত চালাচ্ছে। সমান্তরাল ভাবে চলেছে ম্যাকলের তদন্তও। ৪২ লক্ষ মানুষের প্রাণ নিয়েছে যে ভাইরাস, তার উৎস জানার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরাও। তাঁদের বক্তব্য, কী ভাবে ভাইরাসটি ছড়াল, তা না-জানা গেলে ফের কোনও অতিমারি হানা দেবে।

Advertisement

একাধিক সূত্র থেকে নেওয়া খবরে তৈরি রিপাবলিকান রিপোর্টটি এই সিদ্ধান্তে এসে পৌঁছেছে: ‘‘উহানের গবেষণাগারে অতি-বিতর্কিত গবেষণা চলছিল। এতে ভাইরাস ও ব্যাকটিরিয়ার জিনগত পরিবর্তন করে তার সংক্রমণ ক্ষমতা বাড়ানো হয়েছিল। তার পর পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল, কী ভাবে একে ঠেকানো যায়। এক কথায়— অতিসংক্রামক ভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক্ষমতা গড়ে তোলার পথ খোঁজা হচ্ছিল। কিন্তু গোটা কর্মকাণ্ড চলার সময়ে ল্যাবে যথাযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না।’’

মাইকেল ম্যাকল বলেন, ‘‘আমরা নিশ্চিত ভাবে জানি, উহান ইনস্টিটিউটে এই ধরনের গবেষণা চলছিল। আর এ-ও জানি, যথেষ্ট নিরাপত্তা ছিল না।’’

আমেরিকার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞেরাও মনে করেন, এ বিষয়ে চিনকে শিক্ষা দেওয়া উচিত। চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ— এক, তারা ভাইরাস সংক্রমণ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীগুলিকে সময় থাকতে সতর্ক করেনি। দুই, ভাইরাসের উৎস সন্ধানে তদন্ত চলাকালীন প্রতিনিয়ত বাধা সৃষ্টি করেছে। আমেরিকার ‘ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অব ডেমোক্র্যাসিস’-এর শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞ অ্যান্টনি রাগিরো বলেন, ‘‘বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এবং জি-৭-এর সঙ্গে কথা চালিয়ে যাচ্ছে বাইডেন প্রশাসন। কূটনীতির সাহায্যেই পথ খোঁজা হচ্ছে। চিনের কাছেও সহযোগিতার আবেদন জানানো হয়েছিল। কিন্তু ওদের জবাব— না।’’ ম্যাকলের কথায়, ‘‘আমেরিকা সরকারের এ বার উচিত এই অতিমারির উৎস খুঁজে বার করা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement