ভলোদিমির জ়েলেনস্কি
গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। অস্কার থেকে গোল্ডেন গ্লোব, গ্র্যামি, কান চলচ্চিত্র উৎসব, বার্লিন চলচ্চিত্র উৎসব— প্রায় সব অনুষ্ঠান-মঞ্চেই ভিডিয়ো-বার্তায় উপস্থিত হয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তিনি। যুদ্ধ থামানোর বার্তা দিয়েছেন ক্রেমলিনকে। এ বছরও তাঁকে আমন্ত্রণ জানানোর কথা বলা হয়েছিল অস্কার কর্তৃপক্ষকে। কিন্তু শোনা গিয়েছে, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন তাঁরা।
একটি আমেরিকান পত্রিকার রিপোর্ট অনুযায়ী, জ়েলেনস্কি আশা করেছিলেন এ বছরও অস্কার অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন তিনি। অতিথি-তালিকায় তাঁর নাম যোগ করার আবেদনও জানানো হয়েছিল। যদিও সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছেন অস্কার কর্তৃপক্ষ। গত বছর অস্কারের এগ্জ়িকিউটিভ প্রোডিউসার উইল প্যাকার অনুষ্ঠানসূচিতে জ়েলেনস্কির নাম যোগ করেছিলেন। অনেকেরই বক্তব্য, প্যাকার ওই কাজ করেছিলেন কারণ ‘এই যুদ্ধে শ্বেতাঙ্গরা যুক্ত রয়েছেন। এর আগে যে সব যুদ্ধে অশ্বেতাঙ্গ মানুষেরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁরা এত সুযোগ পাননি।’ গত বছর অস্কার অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের যুদ্ধে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতাও পালন করা হয়েছিল।
জ়েলেনস্কির নাম খারিজ করার খবর প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তবে কি একটু একটু করে ইউক্রেনের পাশ থেকে সরে আসছে আমেরিকা? সম্প্রতি একটি সমীক্ষাতে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনে আমেরিকার পাঠানো ত্রাণসাহায্য আগের থেকে কমে এসেছে।
তবে শুধু অস্কার নয়, গত সেপ্টেম্বরে টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবেও জ়েলেনস্কির অংশগ্রহণ বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। চলচ্চিত্র উৎসবের এক মুখপাত্র বলেছিলেন, ‘‘ঘরে-বাইরে ইউক্রেনীয়দের পাশে ঐক্যবদ্ধ ভাবে রয়েছি আমরা। ইউক্রেনীয় চিত্রনির্মাতাদের গভীরতা ও শিল্পকাজ দেখানো হবে এ বছর। কিন্তু সরকারি আধিকারিক কিংবা আন্তর্জাতিক দূতাবাসগুলির সঙ্গে কী আলোচনা হয়েছে, তা নিয়ে মন্তব্য করা হবে না।’’
এ বছর জানুয়ারি মাসে গোল্ডেন গ্লোবের মঞ্চে অবশ্য ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন জ়েলেনস্কি। বলেছিলেন, ‘‘প্রথম বিশ্বযুদ্ধে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মৃত্যু হয়েছিল কোটিতে। কোনও ভাবেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হতে দেওয়া যাবে না। এটা কোনও তিন পর্বের বিষয়বস্তু নয়।’’