জন্মের পরই মা আর নিতে চায়নি শাবককে। সেই ব্যাঘ্রশাবকই এখন আদরযত্নে বড় হচ্ছে মানব পিতা-মাতার কাছে।
পিপো। বয়স মাত্র ৫ মাস। স্পেনের একটি চিড়িয়াখানায় জন্ম বিরল এই সাদারঙা ‘বেঙ্গল টাইগার’-এর। কিন্তু জন্মের পরই ‘মা-হারা’ হওয়ায় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন রেজিনা হামজা এবং তাঁর স্বামী। এই দম্পতি জার্মানির হ্যানোভারের সেরেঙ্গেটি পার্কে পশুদের দেখাশোনা করেন। তাঁদের পরিবারের নতুন সদস্য হয়ে এসেছে পিপো। শুধু পিপো একাই নয়, আরও ২০টি বাঘকে লালনপালন করেছেন হামজা দম্পতি। সেই পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্য পিপো।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পিপো নতুন আদবকায়দা শিখেছে। তাকে নতুন আদবকায়দা শেখানোর অনবরত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন হামজা দম্পতি। রেজিনা বলেন, “পিপোর দুষ্টুমি দেখার মতো। সারাক্ষণ বাড়ির এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত দৌড়ে বেড়াচ্ছে। এটা টানছে, ওটা টানছে। কখনও কখনও আবার আলতো করে কামড়ে ধরছে। পিপো যে ভাবে আদবকায়দাগুলি শিখছে, তাতে আমি গর্বিত।” রেজিনা জানিয়েছেন, রাতে পিপোর খাবারে মাংস চাই-ই। তা-ও আবার মাংস গরম না হলে ছুঁয়েও দেখবে না সে। সকালে খাওয়ার পর বাগানে খেলে পিপো। বেশ কিছু দিন হামজা পরিবারের লালিতপালিত হওয়ার পর টাইগার পার্কে ছেড়ে দেওয়ার সময় আসে। পিপোকে নিয়ে যাওয়া হয় টাইগার পার্কে। সেখানে নতুন সদস্য বিয়াঙ্কার সঙ্গে তার পরিচয় করানোই ছিল আসল উদ্দেশ্য। আট মাসের সাদা বাঘ বিয়াঙ্কা।
রেজিনা বলেন, “প্রথমে খুব আতঙ্কে ছিলাম, বিয়াঙ্কা কেমন আচরণ করবে পিপোর সঙ্গে। পিপো ঠিক মতো মানিয়ে নিতে পারবে কি না বিয়াঙ্কাকে। আশ্চর্যের বিষয় লক্ষ করেছিলাম যে, বিয়াঙ্কা এবং পিপো অল্প সময়ের মধ্যে বন্ধু হয়ে যায়।”