Earthquake in Turkey and Syria

কংক্রিটের চাঙড়ে চাপা পড়ে ছিল তিন দিন, তুরস্কের ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার কুকুরছানা

কংক্রিটের ছোট-বড় চাঙড়ের ফাঁক গলে শুধুমাত্র তার মাথাটুকু বেরিয়ে ছিল। বাকি অংশ ধ্বংসস্তূপে। উদ্ধারকারীদের প্রচেষ্টায় তুরস্কের ভূমিকম্পের বলি হতে হতে বেঁচে গিয়েছে একটি সাদা কুকুর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ইস্তানবুল শেষ আপডেট: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ১৫:৪৯
Share:

ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে মাথা বার করেছিল এই ছোট্ট প্রাণ। ছবি: রয়টার্স।

যে দিকে চোখ যায় শুধুই ধ্বংসস্তূপ। তারই মধ্যে থেকে মাথা বার করেছিল একটি সাদা কুকুর। কংক্রিটের ছোট-ব়ড় চাঙড়ের ফাঁক গলে শুধুমাত্র তার মাথাটুকু বেরিয়ে ছিল। বাকি অংশ চাপা পড়ে ছিল ধ্বংসস্তূপে। এ ভাবেই কাটিয়েছিল ৩ দিন। উদ্ধারকারীদের প্রচেষ্টায় তুরস্কের ভূমিকম্পের বলি হতে হতে বেঁচে গিয়েছে ওই কুকুরটি। ভাঙা রডে আটকে থাকা কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচ থেকে প্রায় অক্ষত অবস্থায় তাকে টেনে বার করে এনেছেন উদ্ধারকারীরা। সমাজমাধ্যমে সে দৃশ্য দেখে আপ্লুত অনেকেই।

Advertisement

সোমবার তুরস্ক এবং সিরিয়ার সীমান্তঘেঁষা অঞ্চলে পরের পর ভূকম্পনে কেঁপে উঠেছে দু’দেশ। ওই দিন ভোর ৪টে নাগাদ দক্ষিণ তুরস্কে প্রথম ভূকম্পন হয়। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ছিল ৭.৮। এর পর থেকে আরও কয়েক বার ভূমিকম্প-সহ শতাধিক ঝাঁকুনি (আফটার শক্‌) লেগেছে দু’দেশের নানা প্রান্তে। এই ধ্বংসলীলায় মৃতদের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি পরিসংখ্যান। আহত হয়েছেন প্রায় ৪০ হাজার।

এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে আপাতত দু’দেশেই ধ্বংসের বীভৎস হাহাকার। তার ধূসর চিত্রের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে একটি প্রাণের স্পন্দন। একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, কংক্রিটের চাঁইয়ের নীচ থেকে নড়বড়ে মাথা তুলছে কুকুরটি। খানিকটা মাথা তুলতেই তাকে বোতল থেকে জল খাওয়াচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তখনও তার প্রায় গোটা দেহটা চাপা কংক্রিটের নীচে। কুকুরটিকে জল খাওয়ানোর পর ভারী যন্ত্রপাতির বদলে হাত দিয়ে উদ্ধারের কাজ শুরু। ধীরে ধীরে ভাঙা রডে আটকানো কংক্রিটের চাঁই আর ইট-পাথরের টুকরোগুলি দু’হাতে সরাতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। যাতে কুকুরটির গায়ে আর আঘাত না লাগে। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে গোটা দেহটি দেখা গেলে পরম মমতায় কুকুরটিকে টেনে বার করে আনেন উদ্ধারকারীরা। টুইটারে এই ভিডিয়োটি অনেকেই শেয়ার করেছেন। তাতে প্রায় সকলেই এই মর্মস্পর্শী ভিডিয়োয় ভালবাসা ছড়িয়ে দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement