গায়ক আলি জ়াফর নিজেই তাঁর টুইটার মাধ্যম থেকে অনুরাগীদের সঙ্গে ভিডিয়োটি ভাগ করে নিয়েছেন। ছবি: সংগৃহীত
পরীক্ষার আগে মন দিয়ে যতই পড়াশোনা করা যাক, পরীক্ষার হলে প্রশ্নপত্র পেলেই যেন সব গুলিয়ে যায়। মাথার মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকে আজব চিন্তাভাবনা। পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর কী ভাবে ছুটির দিনগুলি কাটানো যায় তা থেকে শুরু করে কখনও গানের কথা, কখনও বা সিনেমার বিখ্যাত সংলাপ ভাসতে থাকে। এ রকম ঘটনা নতুন নয়। মাঝেমধ্যে পরীক্ষার হলে কোনও প্রশ্নের উত্তর মনে না পড়লে বানিয়ে গল্প লিখতে শুরু করে দেন অনেকেই।
সম্প্রতি নেটমাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে। ওই ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে যে, একটি প্রশ্নের উত্তরে পরীক্ষার্থী কোনও বানানো গল্প নয়, বরং তার পরিবর্তে লিখলেন আলি জ়াফরের বিখ্যাত সেই গান ‘ঝুম’। ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়তে গায়ক নিজেই তাঁর টুইটার মাধ্যম থেকে অনুরাগীদের সঙ্গে সেটি ভাগ করে নেন। টুইট করে আলি লেখেন, ‘‘পদার্থবিদ্যা সব জায়গায় রয়েছে। এমনকি, আমার গানের মধ্যেও তা খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু আমি ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করছি যে, তোমরা আমার গানে ওসব খুঁজতে যেও না। শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং তাঁদের দেওয়া শিক্ষাকে সম্মান কর।’’ ভিডিয়োটি হোয়াটসঅ্যাপেও ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানান আলি।
সম্প্রতি টুইটার মাধ্যমে করাচির এক শিক্ষক একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন। পরীক্ষার খাতার পাতা ভেসে উঠেছে সেই ভিডিয়োতে। তা দেখে বোঝা যাচ্ছে যে পদার্থবিদ্যা বিষয়ের খাতা। প্রশ্ন করা হয়েছে যে, ‘নিউটন বলয়ের মাঝের অংশ কালো দেখায় কেন?’ করাচির এক প্রাক্-ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রথম বর্ষের পড়ুয়া এই প্রশ্নের উত্তরে লিখেছেন আলি জ়াফরের গাওয়া ‘ঝুম’ গানের কলি। উত্তরের শেষে আবার শিক্ষককে অনুরোধ করেছেন যে, তাঁকে যেন ওই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার অনলাইন।
টুইটার মাধ্যমে এই ভিডিয়ো পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে নেটব্যবহারকারীরা মজার ছলে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন। কেউ কেউ বলেছেন, ‘‘এ বার নিউটনের সূত্রগুলি গেয়ে শোনাতে হবে।’’ কেউ আবার বলেছেন, ‘‘অন্তত গানের কলি মনে রাখার জন্য কিছু নম্বর পাওয়া উচিত।’’