Georgia Poll Worker Arrest

বোমাতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেফতার আমেরিকার ভোটকর্মী, ভয় দেখাতে লিখেছিলেন ভুয়ো তথ্যের বেনামি হুমকি চিঠি

ধৃত ভোটকর্মী জর্জিয়া প্রদেশের জোনস্‌ কাউন্টি নির্বাচনী দফতরে কর্মরত ছিলেন। গত মাসে এক ভোটারের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়েছিল। পুলি‌শের অনুমান, তাঁকে ফাঁসাতেই ওই ভুয়ো তথ্য-সহ চিঠি পাঠিয়েছিলেন তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ নভেম্বর ২০২৪ ১৬:৩২
Share:

আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল পর্ব শুরুর আগে ‘আর্লি ভোটিং’ চলার দৃশ্য। ছবি: রয়টার্স।

বাংলার একাধিক নির্বাচনে অতীতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ বার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেও ছড়াল বোমাতঙ্ক। ‘আর্লি ভোটিং’ প্রক্রিয়ার সময় বোমা রেখে দেওয়ার ভুয়ো তথ্য ছড়ানোর অভিযোগের গ্রেফতার হয়েছেন এক ভোটকর্মী। ঘটনাটি ঘটেছে আমেরিকা জর্জিয়া প্রদেশে। সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, পুলিশ সন্দেহ করছে বাকি ভোটকর্মীদের ভয় দেখানোর জন্যই এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন বছর পঁচিশের নিকোলাস উইমবিশ। বোমা থাকার কথা উল্লেখ করে সম্প্রতি একটি চিঠি লিখেছিলেন তিনি। চিঠিটি এমন ভাবে পরিবেশন করেছিলেন যাতে মনে হয় কোনও সাধারণ ভোটার ওই হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন।

Advertisement

মঙ্গলবার আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মূল পর্ব। তার আগে ৪০টি প্রদেশে ‘আর্লি ভোটিং’ প্রক্রিয়া হয়েছে। আমেরিকার সব প্রদেশেই আগাম ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেটিকে বলা হয়ে থাকে ‘আর্লি ভোটিং’। ওই প্রক্রিয়ার আগে বোমা রাখার অভিযোগ ছড়িয়েছিলেন তিনি। জর্জিয়া প্রদেশের জোনস্‌ কাউন্টি নির্বাচনী দফতরে কর্মরত ছিলেন ওই নিকোলাস। ১৬ অক্টোবর এক ভোটারের সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হয়েছিল। তার পরের দিনই জোনস্‌ কাউন্টির ইলেকশন সুপারিন্টেন্ডেন্টের অফিসে হুমকি চিঠি পাঠান তিনি।

চিঠির বয়ান এমন ছিল যাতে মনে হয় ওই ভোটারই হুমকি চিঠি পাঠিয়েছেন। চিঠিতে কোনও প্রেরকের নাম উল্লেখ ছিল না। বেনামি ওই চিঠিতে কেবল লেখা ছিল ‘জোনস্‌ কাউন্টির ভোটার’। ওই ভুয়ো তথ্যের হুমকি চিঠির মাধ্যমে বাকি ভোটকর্মীদের ভয় দেখানোর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। চিঠির একটি জায়গায় উল্লেখ ছিল “আর্লি ভোটিংয়ের জায়গায় ‘বুম টয়’ রাখা আছে। সিগার পুড়ছে। সাবধান থাকুন।” ওই শব্দ থেকেই বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছিল বলে অভিযোগ। ভুয়ো চিঠিতে ভোটকর্মীদের হুঁশিয়ারি বলা হয়েছিল, “নিজেদের দিকেও তাঁদের (ভোটকর্মীদের) দেখা উচিত। তাঁরা কোথায় থাকেন সব আমি জানি। কারণ তাঁদের প্রত্যেকের ভোট দেওয়ার ঠিকানা আমার কাছে আছে।”

Advertisement

ওই চিঠি পাওয়ার পরই তদন্ত শুরু করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। পরে দেখা যায়, বেনামি চিঠিতে ভুয়ো তথ্য ছড়ানো হয়েছে। এর নেপথ্যে উঠে আসে জর্জিয়ার ওই ভোটকর্মীর নাম। তাঁকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement