Bizarre Incident

লটারিতে পেলেন ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা! সংস্থার দাবি, ‘এটা ছাপার ভুল’, প্রাপক ছুটলেন আদালতে

ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই লটারি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানান, ‘এটা ছাপার ভুল’। তাই প্রাপককে ওই পরিমাণ টাকা দেবেন না বলেও জানান তাঁরা। তার পরই লটারি ‘বিজেতা’ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৫৯
Share:

আমেরিকার বাসিন্দা জন চিকস লটারি কেটে জিতেছেন ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। ছবি সংগৃহীত।

লটারি কাটার ‘নেশা’ আছে অনেকেরই। এক লটারিতেই কোটিপতি বা লাখপতি হওয়ার স্বপ্ন চোখে নিয়ে ঘুমোতে যান, এমন মানুষের সংখ্যা নেহাত কম নেই। লটারি কেটে ধনবান হওয়ার ইচ্ছে ছিল জন চিকস নামে এক ব্যক্তির। কিন্তু এক লটারিতেই দু’হাজার ৮০০ কোটি টাকা জিতে যাবেন তা হয়তো ভাবতে পারেননি তিনি। তেমনই কাণ্ড ঘটেছে আমেরিকাতে। তবে গল্পের শেষ এখানেই নয়। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই লটারি কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানান, ‘এটা ছাপার ভুল’। তাই প্রাপককে তাঁরা ওই পরিমাণ টাকা দেবেন না বলেও জানান। তার পরই লটারি ‘বিজেতা’ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

Advertisement

আমেরিকার ওয়াশিংটন ডিসি-র বাসিন্দা জন ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি একটি লটারি কেটেছিলেন। ‘পাওয়ারবল অ্যান্ড দ্য ডিসি’ নামক এক লটারি সংস্থার সেই টিকিটেই কোটিপতি হন তিনি। তবে যে দিন লটারি ড্রয়ের কথা ছিল সে দিন ঘটনাস্থলে ছিলেন না জন। পরে যখন কোম্পানির তরফে তাদের ওয়েবসাইটে বিজয়ীদের তালিকা প্রকাশ করে তখন তিনি সেখানে নিজের নাম দেখেন।

চমক এখানেই শেষ নয়। জন দেখেন তাঁর জেতা টাকার অঙ্ক ৩৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় দু’হাজার ৮০০ কোটি টাকা। যা দেখে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারেননি জন। সংবাদমাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘‘আমি একটু বিস্মিতই হই। কিন্তু বেশি উত্তেজনা প্রকাশ করিনি। শুধু এক বন্ধুকে ফোন করে খবরটা জানাই। তাঁর পরামর্শেই নিজের একটা ছবি তুলে ঘুমোতে যাই।’’

Advertisement

এর পরই জন বলেন, ‘‘পরের দিন লটারি নিয়ে যোগাযোগ করি পাওয়ারবল অ্যান্ড দ্য ডিসি কোম্পানির সঙ্গে। তবে তারা আমায় জানায়, আপনি লটারি জেতেননি। এটা ছাপার ভুল। টাকার অঙ্কের জায়গায় ভুল করে আমার লটারির নম্বর লেখা হয়ে গিয়েছে।’’ তিনি আরও দাবি করেন, তাঁকে টাকা দিতে রাজি হয়নি কোম্পানি।

তার পরই জন আদালতে ছোটেন। লটারি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে, তিনি জানান, তাঁর টিকিটের টাকা আদায়ের জন্য স্থানীয় এজেন্টের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। জনের কথায়, ‘‘ওই এজেন্ট আমাকে আমার টিকিট ফেলে দিতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি সেটা আমি করিনি। যত্ন করে সেই টিকিট তুলে রেখে দিয়েছিলাম। আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করে আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিই।’’

জনের আইনজীবীর দাবি, তাঁর মক্কেল লটারি কোম্পানির বিরুদ্ধে ‘চুক্তি ভঙ্গ’, ‘প্রতারণা’, ‘মানসিক হেনস্থা’র অভিযোগ তুলে মামলা দায়ের করেছেন আদালতে। বিচারক মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। খুব তাড়াতাড়ি শুনানি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement