—প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীর উপরে অকথ্য মানসিক নির্যাতন করত ব্রিটেনের বাসিন্দা, বছর আঠাশের নিকোলাস মেটসন। তাঁকে ভয় দেখাতে কখনও পোষ্য হ্যামস্টারকে ফুড ব্লেন্ডারে বা মাইক্রোওয়েভ ওভেনে ঢুকিয়ে বা পোষ্য কুকুরকে ওয়াশিং মেশিনে ঢুকিয়ে মেরে ফেলত সে। এখানেই থেমে থাকেনি নিকোলাস। মার্চ মাসে স্ত্রী-কে কুপিয়ে খুন করে সেই মৃতদেহ ২০০টিরও বেশি টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দেয় সে। সম্প্রতি বিষয়টি সামনে এসেছে। সেই সময়ে পুলিশ নিকোলাসের স্ত্রীর খোঁজ করায় সে মজা করে বলে, ‘দেখুন খাটের তলায় লুকিয়ে আছে কিনা।’
পুলিশ জানিয়েছে, নিকোলাস প্রথমে কুপিয়ে খুন করে তার স্ত্রী হোলি ব্রামলে (২৬)-কে। পরে তাঁর দেহটি শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে দু’শোটিরও বেশি খণ্ড করা হয়। কিছু দিন সেই দেহাংশ প্লাস্টিকে পুরে ঘরের ফ্রিজেই রেখে দিয়েছিল নিকোলাস। এক সপ্তাহ পরে এক বন্ধুকে ৫০ পাউন্ডের লোভ দেখিয়ে, তাঁর সাহায্যে দেহ খণ্ডগুলি উইদ্যাম নদীতে ফেলে দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার এক দিন বাদে নদীতে প্লাস্টিক গুলি ভেসে উঠে। একটি প্লাস্টিক প্যাকেট থেকে মেলে হোলির কাটা হাত। অন্য একটি প্যাকেট থেকে মেলে তাঁর কামানো মাথা। মোট ২২৪টি দেহাংশ পাওয়া গেলেও, এখনও খোঁজ মেলেনি দেহের বেশ কিছু অংশের। নিকোলাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
হোলির মা জানান, ১৬ মাস আগে মেয়ের বিয়ে হয়। প্রথম থেকেই স্ত্রীর উপরে অত্যাচার চালাত নিকোলাস। বিবাহবিচ্ছেদের কথা ভাবছিলেন হোলি। কিন্তু শেষরক্ষা হল না।
২০২২ সালে দিল্লিতে শ্রদ্ধা ওয়ালকারের খুন করেছিল তাঁর লিভ-ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। তার পরে মৃতদেহটি টুকরো টুকরো করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছিল সে। নিকোলাসের কীর্তি উস্কে দিল সেই ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতি।