(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা। আমির হোসেন আমু (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
খুনের অভিযোগে গ্রেফতার আওয়ামী লীগ নেতার আইনজীবীকে আদালতের ভিতরেই মারধর করে বার করে দিলেন একদল আইনজীবী। এর পর কার্যত শুনানি অসমাপ্ত রেখেই ধৃত প্রাক্তন মন্ত্রী তথা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমুকে ছ’দিনের পুলিশি হেফাজতে পাঠালেন বিচারক।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর মন্ত্রিসভার প্রভাবশালী সদস্য ছিলেন আমু। গত ৫ অগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পরে অন্যান্য আওয়ামী নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের মতোই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক ফৌজদারি মামলা রুজু করেছিল অন্তর্বর্তী সরকারের পুলিশ। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় প্রকাশিত খবর জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে আমুকে হাজির করানো হলে তাঁর আইনজীবী স্বপন রায়চৌধুরী শুনানিতে অংশ নিতে এজলাসে হাজির হয়েছিলেন।
রাজধানী ঢাকার নিউ মার্কেট থানায় দায়ের করা ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেফতার প্রাক্তন মন্ত্রী আমুকে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় পুলিশ। স্বপন তাঁর মক্কেলের জামিনের আবেদন জানান। কিন্তু বিচারকের সামনে শুনানি চলাকালীনই তাঁর আইনজীবীকে ঘিরে ধরে মারধর শুরু করেন আর একদল আইনজীবী। তাঁকে মারতে মারতে এজলাস কক্ষের বাইরে বার করে দেওয়া হয়! আমুকে নিরাপত্তার কারণে পুলিশ ঘিরে রাখে। শেষ পর্যন্ত সরকারি আইনজীবীর আবেদন মেনে বিচারক ছ’দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠান হাসিনা জমানার মন্ত্রীকে।