তাজি এলাকায় হামলার পরবর্তী অবস্থার ছবি। ছবি: রয়টার্স
ওয়াশিংটন আর তেহরানের মধ্যে টানটান উত্তেজনায় ফুটছে মধ্যপ্রাচ্য। শুক্রবার, মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সেনাকর্তা কাসেম সোলেমানি। তার চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে শনিবার ফের ড্রোন হামলা হল। এ বার নিশানায় ইরাকি বাহিনীর কনভয়। এই ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকেই দায়ী করেছে ইরাক। যদিও, ওই হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে ওয়াশিংটন।
ইরাকি পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বাগদাদের উত্তরে তাজি এলাকায় ইরাকি আধাসেনার কনভয়ে ড্রোন হামলা চালানো হয়। তার জেরে অনেকে হতাহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে হতাহতের সংখ্যা কত তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি ইরাকি পুলিশ। হাশেদ আল শবাবি নামে ওই বাহিনীর সঙ্গে ইরানের যোগাযোগ রয়েছে। তবে কারা এই হামলার পিছনে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। কিন্তু, ইরাকের সরকারি টিভি চ্যানেল দাবি করছে, ওই হামলা চালিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। যদিও, এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে ওয়াশিংটন বলছে, এ দিন তাজ স্টেডিয়ামের কাছে তারা কোনও হামলা চালায়নি।
শুক্রবার মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত হন ইরানের সেনাকর্তা হাসেম সোলেমানি। এ দিন তাঁর শেষকৃত্য। তার আগেই নতুন করে হামলায় ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ চড়তে শুরু করেছে। ইরানের বিদেশমন্ত্রী জাভাদ জারিফ এই হানাকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদ’ বলে নিন্দা করে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বলেছেন, ‘‘এর ফল ভুগতে হবে আমেরিকাকে।’’ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পাল্টা বলেছেন, ‘‘আমেরিকা ইরানের শাসনে পরিবর্তন চায় না। হামলার উদ্দেশ্য ছিল যুদ্ধ থামানো, যুদ্ধ শুরু নয়। সোলেমানি মার্কিন কূটনীতিকদের উপরে হামলার ছক কষছিলেন।’’
ট্রাম্প যুদ্ধ শুরু না করার দাবি করলেও, বাগদাদে আরও সেনা মোতায়েন করছে পেন্টাগন। বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তা আরও কড়া করতে পাঠানো হয়েছে মার্কিন বাহিনী। চলতি বছরেই মধ্যপ্রাচ্যের ওই অংশে আরও ১৪ হাজার সেনা মোতায়েন করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।