—প্রতীকী চিত্র।
টর্নেডোর জেরে বিপর্যস্ত আমেরিকার টেনেসি-সহ একাধিক এলাকা। প্রবল ঝড়ের জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক শিশু-সহ ছ’জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অন্তত ২৩ জন। ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে বহু ঘর-বাড়ি। ব্যাহত হয়েছে যান-চলাচল। প্রদেশটি বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়ায় সমস্যায় পড়তে হয়েছে দেড় লক্ষের বেশি মানুষকে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরের দিকে প্রবল ঝড় আছড়ে পড়ে টেনেসিতে। টর্নেডোর পূর্বাভাস থাকলেও ঝড়ের গতিবেগ বাড়তে থাকায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয় ন্যাশভিল ও তার আশপাশের এলাকাগুলিতে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্লার্কসভিল, কাম্বারল্যান্ড, স্প্রিংফিল্ড, ম্যাডিসন, হেন্ডারসনভিল ও গ্যালাটিন। ন্যাশভিলের উত্তরপূর্বে থাকা ম্যাডিসনের বাসিন্দা, লিয়্যান গ্যারে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানান, ঝড়-বৃষ্টিতে তছনছ হয়ে যায় অনেকের ঘর-বাড়ি। একাধিক বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় গোটা এলাকা। ঝড়টির জেরে ব্যহত হয় যান চলাচলও। ন্যাশভিল বিমানবন্দর থেকে বিমান চলাচল বাতিল করা হয়েছে।
টর্নেডোর দাপট কিছুটা কমে এলে উদ্ধারকাজ শুরু হয়। ন্যাশভিল ও ক্লার্কসভিল থেকে এক শিশু-সহ মোট ছ’জনের দেহ মেলে। ন্যাশভিলে ভেঙে পড়া একটি আবাসন থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ১৩ জনকে। এ ছাড়াও আরও দশ জনকে এখনও পর্যন্ত জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে টেনেসির বিভিন্ন এলাকা থেকে। আহতেরা সকলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। উদ্ধারকর্মীদের আশঙ্কা, এখনও বেশ কিছু জন আটকে থাকতে পারেন ধ্বংসস্তূপের মধ্যে। ঝড়ের সময় প্রায় এক লক্ষ ৬০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লেও দ্রুত তা ফেরানোর চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন। খাবার ও আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করা হচ্ছে স্থানীয় গির্জার তরফেও। ঝড়-বৃষ্টির দাপট এখন কমে এলেও, টেনেসির বেশ কিছু জায়গায় আকাশ মেঘলা থাকার ও হালকা ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।