—প্রতীকী চিত্র।
২০২১ সালে বিমানযাত্রায় সহযাত্রী ও বিমানকর্মীদের নাস্তানাবুদ করেছিলেন তিনি। সহযাত্রীকে মারধর, লাথি মারা থেকে থুতু ছেটানো কিছুই বাকি রাখেননি। স্বভাবতই আমেরিকার ফেডেরাল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিপুল অঙ্কের জরিমানা করেছিল তাঁকে। জরিমানার টাকা এত দিনেও দিতে না পারায় সম্প্রতি তাঁর নামে মামলা করা হল।
অভিযোগের তির যাঁর দিকে, সেই মহিলার নাম হিদার ওয়েলস। ২০২১ সালের ৭ জুলাই টেক্সাস থেকে শার্লট-গামী একটি বিমানে এতটাই সমস্যার সৃষ্টি করেছিলেন তিনি, যে ডাক্ট টেপ দিয়ে তাঁর হাত বেঁধে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন বিমানকর্মীরা। বার বার উড়ানের দরজা খুলে ফেলার চেষ্টাও করেছিলেন তিনি। মুখও বাঁধা হয়েছিল, কারণ বিমানকর্মীদের অভিযোগ, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করছিলেন হিদার।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এফএএ এই ঘটনার পরেই হিদারকে ৮১ হাজার ৯৫০ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এই ধরনের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি পরিমাণ অর্থমূল্যের জরিমানা এটি। হিদার সেই জরিমানা দিতে না পারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করা হল।
জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন বিমানে উঠেই মদ খেতে চান হিদার। তার পরেই মত্ত অবস্থায় শুরু করেন অকথ্য গালিগালাজ ও মারধর। তাঁর দাবি ছিল, তাঁকে মাঝআকাশে উড়ান থেকে নামিয়ে দিতে হবে। বিমানকর্মীরা কোনও ভাবে তাঁকে বোঝাতে না পেরে শেষ পর্যন্ত হাত মুখ বেঁধে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। এই ঘটনায় হিদারকে ৪৫ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে বিমানকর্মীদের হুমকি দেওয়া ও সহযাত্রীদের হেনস্থা করার জন্য। মাঝ আকাশে বিমানের দরজা খুলে ফেলার চেষ্টা করার জন্য ২৭ হাজার ৯৫০ ডলার ও ন’হাজার ডলার জরিমানা ধার্য হয় বিমানকর্মীদের কাজে ব্যাঘাত ঘটানোর জন্য।