প্রতীকী ছবি।
বয়স ৯২। কিশোরীবেলায় দেশভাগের যন্ত্রণা সয়েছেন। এত বছর পরও ভুলতে পারেননি পূর্বপুরুষের ভিটের কথা। ছোটবেলার সেই স্মৃতি তিল তিল করে সযত্নে আগলে রেখেছেন রীনা। শনিবার তাঁর যেন স্বপ্নপূরণ হল।
৭৫ বছর পর পাকিস্তানে নিজের পৈতৃক ভিটেয় পা রাখলেন এই নবতিপর বৃদ্ধা। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন সূত্রে খবর, ভারতীয় ওই বৃদ্ধাকে তাঁর পৈতৃক ভিটে দর্শনের জন্য তিন মাসের ভিসা দিয়েছে পাকিস্তান হাই কমিশন। ওয়াঘা-আত্তারি সীমান্তে কাঁটাতারের বেষ্টনী পার করে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির প্রেম নিবাসে পৌঁছলেন ওই বৃদ্ধা।
পূর্বপুরুষের ভিটেয় যাতায়াতের জন্য ভিসায় কঠোর নিয়মকানুনের পর্দা যদি খানিকটা আলগা করা যায়, এ নিয়ে দুই সরকারের কাছেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। ওই বৃদ্ধার গলায় শোনা গিয়েছে সম্প্রীতির সুর। তিনি বলেছেন, ‘‘আমার ভাই-বোনদের অনেক বন্ধুবান্ধব ছিল, যাঁরা আমাদের বাড়িতে আসতেন। তাঁদের অনেকেই মুসলিম ছিলেন।’’
১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর বৃদ্ধার পরিবার ভারতে চলে আসে। সে সময় তাঁর বয়স ছিল ১৫। বৃদ্ধার কথায়, ‘‘পৈতৃক ভিটে, পাড়া-প্রতিবেশী, রাস্তা এখনও আমার হৃদয়ে রয়েছে। কখনই মুছে ফেলতে পারব না এগুলো।’’জানা গিয়েছে, পাকিস্তান যাওয়ার জন্য ১৯৬৫ সালে ভিসার আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু দু’দেশের মধ্যে তপ্ত পরিস্থিতির কারণে সে বার ভিসা জোটেনি।