ছবি রয়টার্স।
এ যেন এক স্বপ্নপূরণর আখ্যান! কাঁটাতারের বেড়াজাল ডিঙিয়ে ৭৫ বছর পর পাকিস্তানে পৈতৃক ভিটেয় পা রাখলেন ভারতের এক নবতিপর বৃদ্ধা। নাম রীনা বর্মা। দেশভাগের পর এই প্রথম নিজের জন্মভূমিতে ফিরলেন তিনি।
দেশভাগের পর পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে পৈতৃক বাড়িতে ফেরার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন রীনা। কিন্তু সফল হননি। তবে হাল ছাড়েননি এই নবতিপর বৃদ্ধা। পূর্বপুরুষের ভিটেয় যাওয়ার জন্য ভিসায় কঠোর নিয়মকানুনের পর্দা যদি খানিকটা আলগা করা যায়, এ নিয়ে দুই সরকারের কাছেই আর্জি জানিয়েছিলেন তিনি। কিছু দিন আগেই তাঁর ভিসার আবেদন মঞ্জুর করা হয়।
বুধবার পৈতৃক বাড়িতে পা রেখে আবেগে কেঁদে ফেললেন ৯০ বছর বয়সি রীনা। বৃদ্ধার কথায়, ‘‘এ হল আনন্দাশ্রু। এখানে দাঁড়িয়ে আমি গান গাইব।’’ বাড়ির সামনের রাস্তায় রীনা পা রাখতেই শুরু হয় পুষ্পবৃষ্টি। গোলাপের পাপড়ি গায়ে মেখেই স্থানীয়দের সঙ্গে আনন্দে মাতলেন ওই বৃদ্ধা। শুধু তা-ই নয়, ড্রামের তালে বাসিন্দাদের সঙ্গে রীতিমতো পা মেলান তিনি।
আদি বাড়িতে ফিরে রীনা বলেন, ‘‘বাড়িটা এখনও একই রকম রয়েছে, এটা দেখে খুব ভাল লাগছে।’’ জন্মভিটে ঘুরে দেখতে দেখতে ছেলেবেলার স্মৃতি হাতড়ালেন বৃদ্ধা। দেশভাগের সময় রীনার বয়স ছিল ১৪। পাকিস্তান থেকে তাঁর পরিবার ভারতের পুণেতে চলে এসেছিলেন। তার পর থেকে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি রীনার। এত দিনে সেই স্বপ্নপূরণ হল।