প্রতীকী ছবি।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেলে-মেয়ে-মা-বাবার গলার নলি কাটা। রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ। ঘরে ছড়িয়ে রয়েছে ছুরি ও কুড়ুল। শুক্রবার পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশ থেকে একটি হিন্দু পরিবারের ৫ জনের দেহ রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। দেহগুলি উদ্ধার করার সময় কেবলমাত্র পরিবারের কর্ত্রী জীবিত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। পুলিশের দাবি, পরিবারের কর্তাই আত্মহত্যা করার আগে সকলকে খুন করেছেন। তবে এই মৃত্যুর কারণ ঘিরে ছড়িয়েছে রহস্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, রহিম ইয়ার খান শহর থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে আবু ধাবি কলোনির বাসিন্দা রাম চাঁদের বাড়িতে ওই দেহগুলি উদ্ধার হয়েছে। শুক্রবার খবর পেয়ে পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, রামের স্ত্রী লক্ষ্মী মাই গুরুতর জখম হলেও জীবিত রয়েছেন। তবে তাঁদের ১২ বছরের ছেলে এবং ১০ ও ৪ বছরের ২ মেয়ে-সহ রামের দেহ পড়ে রয়েছে। ওই পরিবারের সকলের এই রহস্যজনক মৃত্যুর পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এই ঘটনায় রামের বিরুদ্ধেই অভিযোগ করেছেন তাঁর শ্যালক তিরথ রাম। তাঁর দাবি, সন্দেহের বশেই ছেলে-মেয়ে এবং স্ত্রী-কে খুন করেছেন রাম। এর পর আত্মঘাতী হন তিনি। তদন্তকারীদেরও প্রাথমিক অনুমান, আত্মহত্যা করার আগে স্ত্রী-ছেলেমেয়ের গলা কেটে খুন করেছেন বছর ৩৬-এর রাম।
স্থানীয় সমাজকর্মী বীরবল দাস জানিয়েছেন, এলাকায় দীর্ঘদিন ধরেই একটি দর্জির দোকান ছিল মেঘাওয়াল হিন্দু সম্প্রদায়ের রামের। নির্বিবাদী বলেই পরিচিত ছিল তাঁর। তবে হঠাৎ কী এমন ঘটল, যার জন্য ওই পরিবারের এমন মর্মান্তিক পরিণতি হল, তা নিয়ে ধোঁয়াশায় প্রতিবেশীরা। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। যদিও ওই পরিবারের আত্মীয়দের দাবি, পেশায় দর্জি রামের আর্থিক দুরবস্থা নিয়ে বার বার কথা শোনাতেন লক্ষ্মী।