নীরা টন্ডন
বাইডেন প্রশাসন পরিচালনায় দেখা যাবে একাধিক ভারতীয় বংশোদ্ভূতকে— নির্বাচনী প্রক্রিয়ার গোড়া থেকে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়া পর্যন্ত সে দেশে বসবাসকারী ভারতীয়দের সমর্থন আদায়ে এই আশ্বাসই ছিল জো বাইডেনের অন্যতম হাতিয়ার। তবে কয়েক ক্ষেত্রে সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও নীরা টন্ডনের সময়ে তা হয়তো মুখ থুবড়ে পড়তে চলেছে।
হোয়াইট হাউসের অফিস অব ম্যানেজেমেন্ট অব বাজেট (ওএমবি)-এর প্রথম অ-শ্বেতাঙ্গ মহিলা প্রধান হওয়ার দৌঁড়ে রয়েছেন নীরা। নিয়ম অনুযায়ী, দায়িত্ব গ্রহণের ক্ষেত্রে প্রার্থীর জন্য দু’দলের সেনেটরদের সমর্থনই জরুরি। সেনেটে নীরার জন্য ভোট প্রক্রিয়া শুরু হবে এ সপ্তাহের শেষে। কিন্তু তিন রিপাবলিকান সেনেটর (রব পোর্টম্যান, সুজ়ান কলিন্স এবং মিট রমনে) তার আগেই ঘোষণা করে দিয়েছেন, নীরার বিরুদ্ধেই ভোট দেবেন তাঁরা। একই সুর শোনা গিয়েছে ডেমোক্র্যাট নেতা জো মাচিনের কণ্ঠেও!
কিন্তু কেন? নীরার বিরুদ্ধে সুর চড়ানো সেনেটরেরা জানিয়েছেন, অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর করা পোস্টগুলির কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত। অভিযোগ, চলতি মাসের গোড়াতে সংশ্লিষ্ট পদে তাঁর অনুমোদন প্রক্রিয়া সংক্রান্ত শুনানি শুরু হওয়ার আগে কমপক্ষে হাজারটি টুইট ডিলিট করেছেন নীরা। তাতে অস্বচ্ছ্বতার অভিযোগ উঠেছে। অতীতে নীরার বিবৃতিগুলির বিষয়বস্তুর বিরুদ্ধে চড়া সুর এবং আক্রমণাত্মক পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগও উঠেছে। শুনানি চলাকালীন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে নীরা সেনেটরদের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন। তবে তাতে চিঁড়ে ভেজেনি বলেই মত বিশেষজ্ঞ মহলের।
বাইডেন যদিও বলেছেন, নীরার পিছনে যথেষ্ট সমর্থন রয়েছে। ফলে কোনও পরিস্থিতিতেই তিনি নীরার প্রার্থীপদ খারিজ করবেন না। তবে সেনেটে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিকানদের শক্তি ৫০-৫০। সেই প্রেক্ষাপটে মাচিনের সমর্থন হারানো নীরার জন্য যে নিঃসন্দেহে বিপদ সঙ্কেত তা বলাই বাহুল্য।