আসিয়ান দেশগুলির বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর নিবন্ধের পেপার কাটিং-এর ছবি টুইটারে এ ভাবেই তুলে ধরেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।
আসিয়ান দেশগুলির মোট ২৭টি সংবাদপত্রে শুক্রবার প্রকাশিত হল ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর লেখা নিবন্ধ। ৬৯তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে ১০টি আসিয়ান দেশের রাষ্ট্রপ্রধান আজ ভারতে। সকালে নয়াদিল্লিতে আয়োজিত কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। আর এই সকালেই ২৭টি সংবাদপত্রের মাধ্যমে তাঁদের দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেল ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বার্তা।
১০টি ভাষার সংবাদপত্রে এ দিন প্রকাশিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদীর লেখা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘‘...আসিয়ান-ভারত সম্পর্কের ২৫ বছর উদযাপনে আয়োজিত শিখর সম্মেলন উপলক্ষে গতকাল আমি আসিয়ানের নেতাদের আপ্যায়ন করার সুযোগ পেয়েছি। আমাদের এখানে তাঁদের উপস্থিতি হল আসিয়ান দেশগুলির তরফ থেকে এক বেনজির সদিচ্ছার ইঙ্গিত।’’ ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবস উদযাপনে একসঙ্গে ১০টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানের উপস্থিতিকে বেনজির এবং ভারত-আসিয়ান সম্পর্কের ক্ষেত্রে মাইলফলক বলে উল্লেখ করেছেন মোদী।
ভারত এবং আসিয়ান দেশগুলির মোট ১৯০ কোটি মানুষের জন্য ভারত-আসিয়ান সহযোগিতা অত্যন্ত সম্ভাবনাময়, লিখেছেন মোদী। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের ‘লুক ইস্ট’ বা ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কথা আসিয়ান দেশগুলির মানুষকে মনে করিয়ে দিতে মোদী আরও লিখেছেন, সূর্যোদয় দেখার জন্য চিরকালই ভারতীয়রা পূর্ব দিকে তাকাতে অভ্যস্ত।
আসিয়ান দেশগুলির উপর প্রভাব ক্রমশ বাড়ানোর চেষ্টা করছে চিন। কিন্তু নয়াদিল্লি আর বেজিংকে ফাঁকা মাঠে গোল করার সুযোগ দিতে চায় না। তাই আসিয়ান দেশগুলির সঙ্গে যোগাযোগ নিবিড় করার উপর জোর দিয়েছে ভারতও। ১০টি দেশের সংবাদপত্রে প্রকাশিত নিবন্ধটিতে এ দিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে ইঙ্গিতও দিয়েছেন। ঐতিহাসিক ভাবেই যে দক্ষিণ এশীয় দেশগুলির সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিবিড়, সে কথা মোদী উল্লেখ করেছেন। চিনের নাম না করলেও, দক্ষিণ চিন সাগরে চিনা আগ্রাসনের কথা প্রকারান্তরে নিজের লেখায় তুলে ধরেছেন মোদী। দক্ষিণ চিন সাগরের জলসীমা নিয়ে চিনের সঙ্গে বিরোধ রয়েছে অনেকগুলি আসিয়ান দেশেরই। ভারতের সঙ্গে যে আসিয়ান দেশগুলির তেমন কোনও সঙ্ঘাত নেই, মোদীর নিবন্ধে সে কথাও স্পষ্ট করে লেখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মুলারের মুখোমুখি হতে চান ট্রাম্প
আরও পড়ুন: বাংলা গানে শুরু গল সাহিত্য উৎসব
১০টি দেশে, ১০টি ভাষায়, ২৭টি সংবাদপত্রে প্রধানমন্ত্রী মোদীর লেখা নিবন্ধ প্রকাশের কথা টুইটারে ফলাও করে তুলে ধরেছে ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। নরেন্দ্র মোদী নিজের টুইটার হ্যান্ডলেও শেয়ার করেছেন সিঙ্গাপুরের ইংরেজি কাগজে প্রকাশিত তাঁর নিবন্ধের লিঙ্ক।