দিল্লির সরায় কালে খান চওকের নতুন নাম এখন বিরসা মুন্ডা চওক। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
দিল্লিতে বেশ কয়েকটি এলাকা এবং রাস্তার নাম বদল হয়েছে আগেই। এ বার সেই তালিকায় জুড়ল সরায় কালে খান চওক। এখানে একটি আন্তঃরাজ্য বাস টার্মিনাল রয়েছে। এ বার সেই চওকের নতুন নাম রাখা হল বিরসা মুণ্ডা চওক।
আদিবাসী নেতা বিরসা মুন্ডার ১৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার সরায় কালে খান চওকের নতুন নামকরণ করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর। বিরসা মুন্ডার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেশ জুড়ে ‘জনজাতীয় গৌরব দিবস’ পালিত হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, ‘‘আজ থেকে সরায় কালে খান চওকের নতুন নাম বিরসা মুন্ডা চওক। তাঁর মূর্তি, তাঁর নামাঙ্কিত এই চওক শুধু দিল্লিবাসীই নয়, বিরসা মুন্ডার জীবনের মূল্যবোধ এবং সংগ্রাম এখানে আসা প্রতিটি মানুষকে অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’
কিছু দিন আগেই সরায় কালে খান চওকে বিরসা মুন্ডার মূর্তি উদ্বোধন করে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। আর তার পরেই কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী সরায় কালে খান চওকের নাম বদলের কথা ঘোষণা করলেন। এর আগেও নাম বদলের পালা চলেছে রাজধানীতে। অওরঙ্গজ়েব রোডের নাম বদলে প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামের নামে করা হয়েছিল। সেই সময় কম বিতর্ক হয়নি।
তার পরেও প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের সামনের রেসকোর্স রোডের নাম বদলে করা হয় লোক কল্যাণ মার্গ। ডালহৌসি রোডের নাম পাল্টানোরও প্রস্তাব করা হয়েছিল। সেটির নাম দারা শিকোহ রোড করার দাবি উঠতেই আপত্তি জানিয়েছিলেন বিশিষ্ট ইতিহাসবিদেরা। তাঁদের যুক্তি ছিল, বার বার রাস্তার নাম বদলের সিদ্ধান্ত আসলে ইতিহাসের সঙ্গে খেলা করা। তার পরেও রাজপথের নাম বদলে করা হয় ‘কর্তব্যপথ’।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে একের পর এক জায়গার নাম বদলের সাক্ষী থেকেছে দেশ। উত্তরপ্রদেশের ইলাহাবাদ হয়েছে প্রয়াগরাজ। রেস কোর্স রোড যেখানে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন, সেখানকার নাম হয়েছে লোক কল্যাণ মার্গ। ফৈজ়াবাদ স্টেশনের নাম হয়েছে অযোধ্যা ক্যান্টনমেন্ট। মোগলসরাই জংশনের নতুন নাম পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায় জংশন। যদিও নাম বদলের এই ধারার বিরোধিতা করেছেন ইতিহাসবিদেরা।