হাফিজ সইদ।—ফাইল চিত্র।
সন্ত্রাসে অর্থ জোগানোর দায়ে পাকিস্তান আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলেন জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ সইদ। বুধবার তাঁকে সাড়ে ৫ বছরের সাজা শুনিয়েছে সে সে দেশের আদালত। ২৬/১১ মুম্বই হামলার ষড়যন্ত্রী হাফিজের সাজার পক্ষে দীর্ঘদিন ধরেই সওয়াল করে আসছিল দিল্লি। তবে এই প্রথম সে দেশের কোনও আদালত তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করল।
জঙ্গিদের আর্থিক মদত দেওয়া বন্ধ করার ব্যাপারে নির্দেশিত পদক্ষেপগুলি করতে না পারলে পাকিস্তানকে কালো তালিকাভুক্ত করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসে আর্থিক জোগানের উপর নজরদারি চালানো আন্তর্জাতিক সংস্থা ফাইনান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স (এফএটিএফ)। দু’দিন বাদেই প্যারিসে সেই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক রয়েছে। তার আগেই হাফিজকে সাজা শোনাল পাক আদালত।
সে দেশের সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য এবং বেআইনি সম্পত্তির মালিক হওয়ার দায়ে বুধবার পূর্ব লাহৌরের একটি আদালত হাফিজকে দু’দফায় দোষী সাব্যস্ত করেছে। নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সদস্য হওয়ায় তাঁকে ছ’মাসের কারাবাসের সাজা শোনানো হয়। বেআইনি সম্পত্তির মালিকানার জন্য সাজা হয় পাঁচ বছরের। সংবাদমাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন সরকার পক্ষের আইনজীবী রউফ ওয়াট্টু। হাফিজের সহযোগী জাফর ইকবালকেও আদালত সাড়ে পাঁচ বছরের সাজা শুনিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: গুজরাতে ৫০-৭০ লক্ষ লোকের জমায়েত হবে শুনে ঘাবড়ে গেলেন ট্রাম্প!
আরও পড়ুন: আপের জয়ে এত উচ্ছ্বাস কেন? চিদম্বরমকে তোপ শর্মিষ্ঠার
সন্ত্রাস দমনে তাদের ভূমিকা নিয়ে বরাবরই আন্তর্জাতিক মহলে সমালোচিত পাকিস্তান। তা সত্ত্বেও ২৬/১১-র মূল চক্রী হাফিজ সে দেশে নিরাপদ আশ্রয়ে রয়েছে। সেখানে বসেই জামাত-উদ-দাওয়া এবং লস্কর-ই-তৈবা, এই দুই সংগঠন চালান তিনি। সন্ত্রাসদমন আইন অনুযায়ী, এই দু’টি সংগঠনই নিষিদ্ধ পাকিস্তানে।