—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
উচ্চশিক্ষার জন্য ব্রিটেনে বসবাসকারী আরও এক ভারতীয় পড়ুয়ার ‘অস্বাভাবিক’ মৃত্যু হল। সে দেশের স্থানীয় সময় অনুযায়ী, বুধবার ভোরে বার্মিংহামের একটি খালের জলে ভাসতে দেখা যায় স্নাতকোত্তরের ওই ছাত্রকে। খাল থেকে টেনে তুলে প্রাথমিক চিকিৎসার পরেও তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলে শনিবার জানিয়েছে পুলিশ। মৃতের দেহের ময়নাতদন্ত হবে বলে জানিয়েছে তারা। যদিও একে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে মানতে নারাজ মৃতের পরিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, বুধবার ভোরে বার্মিংহামের স্যালি ওকের মেট্রন ওয়াক এলাকায় একটি খালে এক যুবককে ভাসতে দেখা যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছন ওয়েস্ট মিডল্যান্ড অ্যাম্বুল্যান্সের সদস্যরা। প্রাথমকি ভাবে চিকিৎসা করা হলেও ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। একটি বিবৃতি জারি করে মৃতের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেছে ওয়েস্ট মিডল্যান্ড অ্যাম্বুল্যান্স সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। জীবন্ত শিবকুমার নামে ২৫ বছরের ওই ছাত্র কেরলের কোয়েম্বত্তূরের বাসিন্দা ছিলেন। স্নাতকোত্তরের পড়াশোনার জন্য ইংল্যান্ডে এসেছিলেন তিনি। অ্যাস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্ট্র্যাটেজি অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল বিজ়নেস-এর ছাত্রটি তার আগে কোয়েম্বত্তূরের একটি কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিগ্রি লাভ করেছেন।
গত দু’ সপ্তাহে ব্রিটেনে কয়েক দিনের ব্যবধানে খুন হয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত তিন পড়ুয়া। সে রহস্যের জট খুলতে না খুলতেই আরও এক পড়ুয়ার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। জীবন্তের দেহ কোয়েম্বত্তূরে তাঁর বাড়িতে পাঠানোর বন্দোবস্ত করতে লন্ডনে ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গেও যোগাযোগ করেছেন পুলিশকর্তারা। জীবন্তের মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করেছেন তাঁর পরিবার। এই তদন্তে যুক্ত হয়েছে কোয়েম্বত্তূর পুলিশও। অন্য দিকে, মৃত্যুর কারণ জানতে গোটা বিষয় খতিয়ে দেখছেন লন্ডন পুলিশের আধিকারিকেরা। মৃতের পরিবারের এক সদস্যের দাবি, ‘‘ইংল্যান্ডে ভারতীয় দূতাবাসের তরফে এই ঘটনার খবর পেয়েছি। তবে দেহ ফিরিয়ে আনতে কী কী প্রক্রিয়া রয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল নই। এ সম্পর্কে জীবন্তের বন্ধুরা বার্মিংহাম থেকে আমাদের সমস্ত খবরাখবর দিচ্ছেন।’’