(বাঁ দিকে) শেখ হাসিনা এবং মুহাম্মদ ইউনূস (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
শেখ হাসিনার জমানায় ‘সরকার ঘনিষ্ঠ’ হিসাবে চিহ্নিত ছিলেন তাঁরা। চুক্তির ভিত্তিতে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত-সহ বিভিন্ন সরকারি সংস্থা ও দফতরের মোট ২৪ কর্মকর্তার নিয়োগ মঙ্গলবার বাতিল করল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণকের এক বিজ্ঞাপনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো জানাচ্ছে, যে কর্মকর্তাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়েছে, তাঁরা হলেন শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজির প্রাথমিক পরিকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জনবিভাগের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ বেলাল হোসেন, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (প্রকৌশলী) শেখ রিয়াজ আহমেদ, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোককুমার দেবনাথ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের কমিশনার (ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসন) মহম্মদ দেলোয়ার হোসেন, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারোয়ার জাহান, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক মহম্মদ আফতাবউদ্দিন তালুকদার, এক্সপোর্ট কম্পিটিটিভনেস ফর জব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মহম্মদ মনসুরুল আলম, তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরিন।
চুক্তি বাতিল করা অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মহম্মদ কামরুজ্জামান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরুল্লা, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান সারওয়ার মাহমুদ, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক উত্তমকুমার দাস, জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মহম্মদ মুনির চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের স্থায়ী সদস্য সত্যেন্দ্রকুমার সরকার, বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের সচিব শ্যামলচন্দ্র কর্মকার, জাতীয় ডিজিটাল ভূমি জোনিং প্রকল্পের প্রকল্পের পরিচালক মহম্মদ কফিলউদ্দিন, এস্টাব্লিস্টমেন্ট অফ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের প্রকল্প পরিচালক মহম্মদ জহুরুল হক, কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক এএফএম হায়াতুল্লা এবং বঙ্গবন্ধু দারিদ্র্য দূরীকরণ ও পল্লী উন্নয়ন অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক মহম্মদ বোরহানুল হক। এ ছাড়া বাংলাদেশের তিন রাষ্ট্রদূত— জার্মানিতে নিযুক্ত মহম্মদ মোশাররফ হোসেন, জাপানে নিযুক্ত শাহাবুদ্দিন আহমদ এবং ইরাকে নিযুক্ত মহম্মদ ফজলুল বারীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগও বাতিল করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ সম্প্রতি আটটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন পদে থাকা চুক্তিভিত্তিক সব নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্তও ছিল। এর মধ্যে যেসব নিয়োগ নিয়ে বেশি বিতর্ক আছে, সেগুলি দ্রুত বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল।