(বাঁ দিকে) অমিত শাহ। (ডান দিকে) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের কাছে তারা জানিয়েছে, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং মৃত্যুর ঘটনার পর যে সিআইএসএফ জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে, তাঁদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করেনি রাজ্য সরকার। অমিত শাহের মন্ত্রকের তরফে দাবি করা হয়েছে, জওয়ানদের জন্য ন্যূনতম ব্যবস্থাও করেনি মমতার সরকার। শুধু তা-ই নয়, মেটাল ডিটেক্টরের মতো নিরাপত্তার জন্য একান্ত প্রয়োজনীয় জিনিসেরও ব্যবস্থা করা হয়নি। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, শীর্ষ আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় এই ঘটনাকে ‘অমার্জনীয়’ বলে বর্ণনা করেছে কেন্দ্র।
গত ৯ অগস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজের সেমিনার রুম থেকে উদ্ধার হয় যুবতী চিকিৎসকের দেহ। পরে অভিযোগ ওঠে ধর্ষণ এবং খুনের। গত ১৩ অগস্ট ওই মামলার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দেওয়ার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। অন্য দিকে, ওই ১৪ অগস্ট রাতে আরজি করে হামলার ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করে সুপ্রিম কোর্ট। ২০ অগস্ট সেই মামলার শুনানিতে সংশ্লিষ্ট সরকারি হাসপাতালে সিআইএসএফ জওয়ান মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়।
কেন্দ্র তাদের হলফনামায় জানিয়েছে, তখন রাজ্যের তরফে বলা হয়েছিল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা থাকতেই পারেন। তাদের কোনও আপত্তি নেই। তাই ২২ অগস্ট থেকে দুই কোম্পানি সিআইএসএফ মোতায়েন করা হয় আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে। কিন্তু তার পর ক্রমাগত অসহযোগিতা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কেন্দ্র শীর্ষ আদালতকে জানিয়েছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অভিযোগ, রাজ্যের ইচ্ছাকৃত এই অসহযোগিতা শুধুমাত্র আদালতের অবমাননাই নয়, সাংবিধানিক নীতিরও পরিপন্থী।
শীর্ষ আদালতে জানানো হয়েছে, সিআইএসএফ জওয়ানদের খাওয়া-থাকার সমস্যার বিষয়টি তাদের নজরে আসার পরে গত ২ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে চিঠি দেওয়া হয়। তাতে অনুরোধ করা হয়েছিল জওয়ানদের সমস্যা সমাধানের। কিন্তু রাজ্যের তরফে তার কোনও প্রতিক্রিয়া বা প্রত্যুত্তর দেওয়া হয়নি।