IMF

IMF Chief: আরও কঠিন হতে চলেছে ২০২৩! আইএমএফ প্রধানের ব্লগে আশঙ্কার কালো মেঘ

৯৪.১ শতাংশ কম আয় সম্পন্ন দেশ, ৮৮.৯ শতাংশ মধ্য আয় সম্পন্ন দেশ এবং ৮৭ শতাংশ উচ্চ আয়ের দেশে মুদ্রাস্ফীতির হার ৫ শতাংশের উপরে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ জুলাই ২০২২ ১৫:১৬
Share:

আইএমএফ প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা। ফাইল ছবি।

কঠিন ছিল ২০২২। কঠিনতর হতে চলেছে ২০২৩। এমনই আশঙ্কার কথা লিপিবদ্ধ হল স্বয়ং আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডারের (আইএমএফ) প্রধান ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভার কলমে। নিজের ব্লগে তিনি আগামী আর্থিক বছরে যে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে বিশ্ব অর্থনীতিকে, তা লিপিবদ্ধ করেছেন।

Advertisement

করোনা অতিমারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ। জোড়া ধাক্কায় থরথর কম্পমান বিশ্ব অর্থনীতি। আইএমএফের প্রধানের আশঙ্কা, এই দুই ধাক্কায় নড়বড়ে অবস্থায় চলে যাওয়া বিশ্ব অর্থনীতির কাঁপুনি সম্ভবত কমবে না আগামী অর্থবর্ষেও। স্বাভাবিক ভাবেই আশঙ্কা বাড়়বে বিশ্বব্যাপী মন্দার।

মুদ্রাস্ফীতির দৈত্যকে বোতলে পোরাই এখন আইএমএফের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। ক্রিস্টালিনা নিজের ব্লগে বিশ্বের সমস্ত দেশের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন মুদ্রাস্ফীতিকে লাগাম পরাতে চেষ্টার কসুর না করে। কারণ, অতিমারি ধ্বস্ত অর্থনীতি যখন যুদ্ধের অভিঘাতে মুখ থুবড়ে পড়ার উপক্রম, তখন মুদ্রাস্ফীতি প্রতিনিয়ত অনুঘটকের কাজ করে চলেছে।

Advertisement

পূর্বাভাস বলছে, উন্নত দেশগুলোতে মুদ্রাস্ফীতির মাত্রা ২০২২-এ ৫.৭ শতাংশ হবে এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতিগুলোতে তা পৌঁছবে ৮.৭ শতাংশে। এ ক্ষেত্রে ক্রিস্টালিনার বার্তা, ‘ডু ইট নাও!’ বা যা করার এখনই করতে হবে।

বিশ্ব অর্থনীতির সামগ্রিক বৃদ্ধি কমার সম্ভাবনা প্রবল। মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে বৃদ্ধির খাতে ভাটার টান। এমনটাই মনে করছেন আইএমএফ প্রধান। তাঁকে ভাবাচ্ছে, চিনের বৃদ্ধি থমকে যাওয়ার পরিস্থিতি। চিনের অর্থনৈতিক শ্লথতা গোটা বিশ্বের অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে আরও ধীর গতির করে তুলতে পারে। তার সরাসরি প্রভাব পড়বে জি-২০ দেশগুলোর উপর।

ক্রিস্টালিনা বিভিন্ন অর্থনীতির চালিকাশক্তির কাছে আবেদন জানিয়েছেন, তারা যেন রাজস্ব সংগ্রহ ও তা খরচের উপর নজর দেয়। মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণে রাখায় যা নির্বিকল্প বলে মনে করেন তিনি। পাশাপাশি দেনার দায়ে পড়া দেশগুলোর জন্য সতর্কবাণী দিয়েছেন আইএমএফ প্রধান। বেলাগাম ঋণের জালে না ফেঁসে সরকারি খাতে অর্থ সরবরাহের নীতি নেওয়ার প্রয়োজনীয়তার কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন তিনি। এই প্রেক্ষিতেই ক্রিস্টালিনার লেখায় উঠে এসেছে শ্রীলঙ্কার বর্তমান পরিস্থিতির কথা।

খাদ্য নিরাপত্তায় আশঙ্কার কথাও ঘুরেফিরে এসেছে ক্রিস্টালিনার ব্লগে। সামগ্রিক ভাবে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার কবলে পড়লে, বা মুদ্রাস্ফীতির হার আকাশ ছুঁলে, বিভিন্ন পিছিয়ে পড়া দেশে খাদ্য সঙ্কট মাথাচাড়া দেবে। তা মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকতে হবে জি-২০ দেশগুলোকে। স্থানীয় চাহিদা সামাল দিতে ভারতের মতো বিভিন্ন দেশ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। একেও আশঙ্কার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন ক্রিস্টালিনা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement