International News

প্রেসিডেন্ট হতে কি রাশিয়ার সাহায্য নিয়েছিলেন ট্রাম্প? মুলার রিপোর্টে মিলল না প্রমাণ

স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে এই তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ২৫ মার্চ ২০১৯ ১৫:০৯
Share:

স্বাভাবিক ভাবেই মুলার তদন্তের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ছবি: এএফপি।

২০১৬-র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রাশিয়া-যোগের তদন্তে অবশেষে স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই তদন্তে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। এমনটাই জানাল সে দেশের বিচার বিভাগের তদন্ত রিপোর্ট। পাশাপাশি, তদন্ত প্রক্রিয়ায় ট্রাম্প বাধা দিয়েছেন কি না, তা নিয়েও কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছনো যায়নি।

Advertisement

স্বাভাবিক ভাবেই তদন্তের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তবে এই তদন্তে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সরব হয়েছে বিরোধী ডেমোক্র্যাটরা। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশের দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা।

প্রেসিডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাশিয়ার সহযোগিতায় নির্বাচন জিতেছেন তিনি। ওই অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করেন মার্কিন বিচার বিভাগের বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। রবিবার সে রিপোর্টের সারমর্ম কংগ্রেসের সামনে প্রকাশ করেন অ্যাটর্নি জেনারেল উইলিয়াম বার। চার পাতার একটি চিঠিতে তিনি জানিয়েছেন, প্রেসি়ডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে ‘ষড়যন্ত্র বা সহযোগিতা’ করে ২০১৬-র নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছিলেন কি না, তা নিয়ে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ পাননি বিশেষ কৌঁসুলি রবার্ট মুলার। একই সঙ্গে ওই তদন্তে ট্রাম্প বাধার সৃষ্টি করেছেন কি না, তা নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি মুলার। যদিও এ বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ ‘দোষমুক্ত’ বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। তবে উইলিয়াম বার তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, “এই রিপোর্টে কোথাও বলা নেই যে ট্রাম্প অপরাধ করেছেন। তবে তাঁকে দোষমুক্ত বলেও রিপোর্টে কোথায় উল্লেখ করা হয়নি।”

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

আরও পড়ুন: সনিয়াকে বিধায়কের কটূক্তি ঘিরে অস্বস্তি বাড়ছে বিজেপির, মুখ খুললেন স্বপ্না

আরও পড়ুন: নিজের গড়ে লক্ষ্যভেদ হবে ? প্রশ্ন অর্জুনকে ঘিরে

আরও পড়ুন: অপহরণ, ধর্মান্তর করিয়ে দুই হিন্দু বোনকে বিয়ে, ভারত-পাক মন্ত্রীদের মধ্যে টুইট-যুদ্ধ

প্রায় দু’বছর ধরে চলা তদন্তের রায় বেরোনোর পর উচ্ছ্বসিত ট্রাম্প বলেন, “দেশকে যে এমন একটা পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হল, তা খুবই লজ্জার বিষয়। সত্যি কথা বলতে কী, আপনাদের প্রেসিডেন্টকে যে এমন একটা অবস্থার মধ্যে পড়তে হল, সেটাই অত্যন্ত লজ্জার।

(আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, আন্তর্জাতিক চুক্তি, আন্তর্জাতিক বিরোধ, আন্তর্জাতিক সংঘর্ষ- সব গুরুত্বপূর্ণআন্তর্জাতিক খবরজানতে চোখ রাখুন আমাদের আন্তর্জাতিক বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement