প্রতীকী ছবি।
সবে বিমানে উঠে বসেছিলেন ১৮৫ যাত্রী। ঘড়ির কাঁটা মাত্র কয়েকটা মিনিট এগিয়েছে, তার মধ্যেই কষ্ট শুরু হয় যাত্রীদের। কারও চোখ অসম্ভব জ্বালা করতে শুরু করে, কেউ বারবার বমি করতে থাকেন। কেউ কাতরাতে শুরু করেন অসহ্য মাথাব্যথায়। যাত্রীদের প্রত্যেকেই কমবেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার সকালে এমন ১০ জন যাত্রীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করাতে হয়। কানাডার কিউবেক বিমানবন্দরে এয়ার ট্রানস্যাট ফ্লাইট ৭৮২-এ এই ঘটনা ঘটেছে।
বিমানবন্দর সূত্রের খবর, প্রতিবারই ওড়ার আগে বিমানের বাইরে জমে থাকা বরফ পরিষ্কার করতে হয়। তার জন্য অনেক রাসায়নিক স্প্রে করা হয় বিমানে। ওই বিমানবন্দরের কর্মীদের অনুমান, সেই রাসায়নিকই ভেন্টিলেশনের মাধ্যমে বিমানের ভিতরে ঢুকে গিয়েছিল। এ ক্ষেত্রেও তেমন ঘটনা ঘটেছিল কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
বিমানটি কানাডা থেকে ফ্লোরিডার ফোর্ট লডার়ডেল শহরে যাচ্ছিল। আগে কখনও ওই বিমানে এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি বলে জানা গিয়েছে। ওই দিন সকাল ১১টা নাগাদ বিমানে যাত্রীদের অসুস্থ হয়ে পড়ার খবর পাওয়া মাত্রই উদ্ধারকারী দল পৌঁছয়। তৎক্ষণাৎ খালি করে দেওয়া হয় বিমান।
আরও পড়ুন: টানা জেরায় ক্লান্ত শ্রীকান্ত, উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হল ভুবনেশ্বরে
আচমকা একসঙ্গে এতগুলো যাত্রী অসুস্থ কেন হয়ে পড়লেন? তা জানতে বিমানের ভিতরের বায়ু পরীক্ষা করে দেখেছেন বিমান কর্তৃপক্ষ। কিন্তু সেই বায়ুতে অস্বাস্থ্যকর কিছু মেলেনি বলে দাবি তাঁদের। ওই এয়ারলাইন্সের মুখপাত্রের অনুমান, ভেন্টিলেশনের সমস্যা হতে পারে।