পাক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভূমিকম্প। প্রতীকী ছবি।
রাজধানী দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বহু এলাকায় প্রবল কম্পন অনুভূত হয়েছিল মঙ্গলবার রাতে। ভারতের ন্যাশনাল সেন্টার ফর সাইসমোলজি জানায়, রিখটার স্কেলে ৬.৬ মাত্রার এই ভূকম্পের উপকেন্দ্র ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় অবস্থিত ফয়জ়াবাদ থেকেও ১৩৩ কিলোমিটার দূরে। ফলে শুধু ভারতই নয় কম্পনের তীব্র প্রভাব পড়েছে পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ এলাকা-সহ মোট ৯টি দেশের উপর। রোখা যায়নি প্রাণহানিও। পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত এই কম্পনের জেরে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ১৩ জন।
পাক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, কমপক্ষে ৯ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভূমিকম্প। এর মধ্যে রয়েছে ১৩ বছরের এক কিশোরীও। বাড়ির দেওয়াল ধসে পড়ায় প্রাণ হারায় সে। উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানে আহতের সংখ্যা ৪৪ পেরিয়ে গিয়েছে। দুর্গতের সংখ্যা বাড়তে থাকায় পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে রাতারাতি জরুরি অবস্থা জারি করা হয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের হাসপাতালগুলিতে। সোয়াট প্রদেশে জখম হয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ জন।
অন্য দিকে, আফগানিস্তানে ভূমিকম্প প্রাণ কেড়েছে কমপক্ষে চার জনের। আহতের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানশাসিত সে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রক।
ইন্দো-অস্ট্রেলিয়ী পাতের সঙ্গে ইউরেশীয় পাতের সংঘর্ষের ফলে তৈরি এই কম্পনে ভারত, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তানের পাশাপাশি প্রভাব পড়েছে তুর্কমেনিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, উজবেকিস্তান, নেপাল ও চিনেও। তবে এই দেশগুলি থেকে এখনও কোনও মৃত্যুর খবর আসেনি।