ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন সৌদি ধনকুবের আল-ওয়ালিদ বিন তালাল। ছবি: সংগৃহীত।
দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি আরবের ১১ জন প্রিন্স এবং বেশ কয়েক জন বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হল। ধৃতদের তালিকায় রয়েছেন সৌদির ধনকুবের প্রিন্স আল-ওয়ালিদ বিন তালাল। একই অভিযোগে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে সৌদি ন্যাশনাল গার্ডের প্রধান এবং অর্থমন্ত্রীকেও।
আরও পড়ুন: মাঝপথে যাত্রী নামিয়ে বাসে যেতে বলল পাকিস্তান এয়ারলাইন্স!
২০০৯-এ জেড্ডায় বন্যার সময় দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। সৌদির আল-আরবিয়া টেলিভিশন সূত্রে খবর, দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরেই একটা কমিশন গঠন করা হয়। সৌদির সরকারি সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট বলছে, ওই কমিশনের মূল লক্ষ্য ছিল জনতার অর্থ অপচয় যাতে না হয় সেটা দেখা, দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দেওয়া এবং যাঁরা ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। দুর্নীতি বিরোধী এই কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রিন্স মহম্মদ বিন সলমন।
আরও পড়ুন: রিয়াধ লক্ষ্য করে জঙ্গিদের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করল সৌদি আরব
ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তিনি দেশের অর্থনৈতিক সংস্কারের জন্য উদ্যোগী হন। গত দু’সপ্তাহ আগেই রিয়াধে বাণিজ্য সম্মেলন হয়। সেখানে বিশ্বের তাবড় তাবড় লগ্নিকারীরা হাজির হয়েছিলেন সেখানে। কী ভাবে দেশের আর্থিক সংস্কারের জন্য কাজ করা হচ্ছে সেটা তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়। পাশাপাশি, দেশের স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকেও তুলে ধরতে কসুর করেননি প্রিন্স মহম্মদ।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, প্রিন্সের ক্রমবর্ধমান ক্ষমতা, বিদেশ নীতি, আর্থিক সংস্কার এবং বেশ কিছু সাহসী পদক্ষেপের বিরোধিতা করছিলেন ধৃতদের কয়েক জন। বার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল সৌদি সরকারের বিরুদ্ধে। দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতেই অবশেষে এই সাহসী পদক্ষেপ করলেন প্রিন্স মহম্মদ।