ইরমায় মৃত ১১, ধেয়ে আসছে ফ্লোরিডার দিকে

আন্তিগুয়া ও বারবুদার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, ঝড়ে বারবুদা দ্বীপপুঞ্জের ৯৫ শতাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বৃহস্পতিবার।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বাহামা শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০২:১৬
Share:

দাপট: ইরমায় ভেসে গিয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপুপঞ্জ। ছবি: এএফপি।

সত্যি হল আশঙ্কা। ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হানার এক দিনের মধ্যে হারিকেন ইরমার তাণ্ডবে মৃত্যু হল ১১ জনের। গত কালই বারবুদা দ্বীপপুঞ্জে আছড়ে প়ড়েছিল বিধ্বংসী এই ঝড়। ২৪ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই বসবাসের অযোগ্য সেই বারবুদা। ধুয়ে-মুছে গিয়েছে সেন্ট মার্টিন দ্বীপও। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২৮৫ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে এই ঘূর্ণিঝড় ডমিনিকান রিপাবলিকের উত্তর-পূর্ব থেকে টার্কস্ ও কেকোস দ্বীপপুঞ্জের দিকে ধেয়ে যাচ্ছে ক্রমশ।

Advertisement

আন্তিগুয়া ও বারবুদার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন জানিয়েছেন, ঝড়ে বারবুদা দ্বীপপুঞ্জের ৯৫ শতাংশ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এক শিশুর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে বৃহস্পতিবার। ছোট্ট এই দ্বীপটিতে ১৬০০ মানুষের বাস। আকাশপথে বারবুদা পরিদর্শনের পর প্রধানমন্ত্রী জানান, দ্বীপটি সম্পূর্ণ জলে ডুবে যাওয়ায় বাসিন্দাদের ৫০ শতাংশই গৃহহীন। ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৮ জনের। এক বাসিন্দা বলেছেন, ‘‘কোথাও বিদ্যুৎ নেই, পানীয় জল নেই, বাড়িঘর সব জলের তলায়, গাড়িগুলো রাস্তায় ভাসছে। বাকি জগৎ থেকে যেন বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে এই দ্বীপ।’’

হারিকেন ইরমার ধাক্কায় বিধ্বস্ত অ্যাঙ্গুইলা ও ভার্জিন আইল্যান্ড। অ্যাঙ্গুইলায় মৃত্যু হয়েছে এক জনের। স্থানীয় এক বাসিন্দার কথায়, ‘‘অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে যেন পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বহু বাড়ির ছাদ ভেঙে পড়েছে। হাসপাতালগুলির অবস্থাও শোচনীয়।’’ সাহায্যের আশ্বাস দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন ব্রিটিশ বিদেশসচিব বরিস জনসন। ফেসবুকে বরিস লিখেছেন, ‘‘ব্রিটেন সব রকম সহায়তা করার জন্য প্রস্তুত। প্রয়োজনে ব্রিটিশ সেনা জাহাজ পাঠানো হবে উদ্ধারকার্যের জন্য।’’ ইরমার গতিবিধির উপর নজর রাখছে হোয়াইট হাউস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

Advertisement

রবিবারের মধ্যে ইরমা ফ্লোরিডায় আঘাত করবে বলে আশঙ্কা। তাই আগেভাগেই খালি করা হচ্ছে রিসর্টগুলি। নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সরে যাচ্ছেন বহু মানুষ। ইতিমধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেশ কিছু উড়ান পরিষেবা। ফ্লোরিডা থেকে যাঁরা চলে যেতে চান, তাঁদের জন্য আমেরিকান এয়ারলাইন্স ৯৯ ডলারের বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা করেছে। প্রদেশ জুড়ে জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। রাষ্ট্রপুঞ্জ জানিয়েছে, ভয়াবহ (ক্যাটেগরি ফাইভ) এই ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন সাড়ে তিন কোটি মানুষ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement