সারদা গোষ্ঠীর কোথায় কত স্থাবর বা অস্থাবর সম্পত্তি আছে, তা জানতে সাধারণ মানুষেরও সাহায্য চায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এ ব্যাপারে একটি নোটিস জারি করে তারা বলেছে, সারদার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কে কোনও সুস্পষ্ট তথ্য জানা থাকলেও যে-কেউ তা তদন্তকারীদের জানাতে পারেন। সারদার ১৪০ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার জন্য নোটিস জারি করেছে ইডি। একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থাকে সমন জারি করেছে তারা।
সারদা কাণ্ডে কারা লাভবান, সেই ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। আজ, বুধবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। ইডি-র কলকাতার অফিস থেকে সম্প্রতি সারদার আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে যুক্ত ১৫ জনকে সমন পাঠানো হয়েছে।
ইতিমধ্যেই সারদা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন সাংসদও রয়েছেন। ‘প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট’-এর আওতায় ২৫ এপ্রিলের মধ্যে তাঁদের বয়ান নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ইডি-র কর্তাব্যক্তিরা।
তদন্তকারীরা জানান, সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এবং তাঁর স্ত্রীর বিমা, একাধিক জমি ও অন্যান্য সম্পত্তি, ৩৯০টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বাজেয়াপ্ত করার নোটিস জারি করা হয়েছে। আইনজীবীদের একাংশের মতে, এই নোটিসের জেরে ইডি-র অনুমতি ছাড়া সারদার বিভিন্ন সংস্থার শেয়ার, স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা যাবে না।
তদন্ত করতে নেমে ইডি জানতে পেরেছে, এ রাজ্যে সারদা সংস্থা আমানতকারীদের কাছ থেকে ২৪৬০ কোটি তুলেছিল। তার ৮০ শতাংশ টাকাই আমানতকারীরা ফেরত পাননি। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ওড়িশা, অসম এবং ঝাড়খণ্ডে অনেক অফিস খুলে দেদার টাকা তুলেছে সারদা।