সারদা-সহ বিভিন্ন অর্থলগ্নি সংস্থার প্রায় দশ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির তদন্তে ঠিক কতগুলো মামলা রুজু করা হবে, সে সম্পর্কে সিবিআই আপাতত আইনি পরামর্শ নিতে ব্যস্ত। আর তাই সারদা-বিশেষ তদন্তকারী দলে (সিট) আইনি উপদেষ্টাকেও সামিল করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। পাশাপাশি বিভিন্ন আর্থিক দুর্নীতির রহস্যভেদে সাহায্য পাওয়ার জন্য বিশেষজ্ঞকে তৈরি রাখা হচ্ছে।
সিবিআই-সূত্রের খবর, দিল্লিতে সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার ডেপুটি লিগ্যাল অ্যাডভাইসর ভিএস শুক্লকে সিটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেনের জট ছাড়ানোর ক্ষেত্রে পরামর্শ লাভের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে পটনায় সিবিআইয়ের দুর্নীতিদমন শাখার সঙ্গে যুক্ত ব্যাঙ্ক অফিসার বি কে সিংহকে। কেলেঙ্কারির সূত্রপাত শুধু নয়, বিনা বাধায় কী ভাবে এত টাকা নয়ছয় হল, সিবিআই তা নিয়েও তদন্ত করবে। সেবি, আরবিআই এবং কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের ভূমিকা যাচাই করা হবে। ওই সব কাজে এঁরা সাহায্য করবেন।
বস্তুত পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার ও অসম-সহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন রাজ্য থেকে সারদা-তদন্তের জন্য নথি জোগাড় করতে গিয়ে সিবিআই শ’চারেক এফআইআর ও অভিযোগ পেয়েছে। কিন্তু সে সবের ভিত্তিতে ক’টা মামলা রুজু করা হবে, তা স্থির করতে আইনি পরামর্শ নেওয়া জরুরি বলে তদন্তকারীরা মনে করছেন। তাঁদের বক্তব্য: বিপুল বহরের আর্থিক কেলেঙ্কারির উৎস সন্ধান করতে হলে সেবি এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের মতো বাজার নিয়ন্ত্রকদের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে প্রতি পদে আর্থিক বিষয়ে ‘বিশেষ’ পরামর্শের দরকার পড়তেই পারে।
এরই প্রেক্ষাপটে ভিএস শুক্ল এবং বি কে সিংহের অন্তর্ভুক্তি। সিবিআই-অধিকর্তা রঞ্জিত সিংহ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সারদা-সিটের সদস্যদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন। ব্যুরো-সূত্রের খবর: তদন্তে কী ভাবে এগোনো হবে, তার একটা প্রাথমিক রূপরেখা বৈঠকে তৈরি করা হয়েছে। সিটের উদ্দেশে অধিকর্তার বার্তা: সুপ্রিম কোর্ট ও আমজনতার আস্থা অর্জনের তাগিদেই দ্রুত তদন্ত হওয়া জরুরি।