বিজ্ঞানী বিকাশ সিংহের পরে এ বার অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু।
শনিবার বিকাশবাবু পশ্চিমবঙ্গকে ‘ব্যর্থ রাজ্য’ বলার পাশাপাশি রাজ্যের বর্তমান শিক্ষার হাল নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন। একই ভাবে রাজ্যের বর্তমান শিক্ষার মান ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তৃণমূলের সাংসদ ইতিহাসবিদ সুগত বসুও। সোমবার কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে এসে সেই বিতর্কই উস্কে দিলেন দেশের প্রাক্তন মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।
এ দিন কলকাতায় ইনফোসিসের একটি অনুষ্ঠানের শেষে কৌশিকবাবু বলেন, “এখানে সার্বিক ভাবে শিক্ষার মান নেমে গিয়েছে। সারা বিশ্বে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নাম ছিল, তা পড়ে গিয়েছে। প্রেসিডেন্সির নাম আগে লোকে লন্ডনে, আমেরিকায় বসে জানত। এখন সেটা অনেকটাই কমে গিয়েছে।”
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থা নিয়ে শনিবার কটাক্ষ করেন বিকাশবাবু। এ দিন কৌশিকবাবু বলেন, “খুব খারাপ লাগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য। যাদবপুর অন্যতম শক্তিশালী বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানেও যদি রোজকার কাজে ব্যাঘাত ঘটে, পড়াশোনা, গবেষণার কাজে ব্যাঘাত ঘটে তা হলে আরও খারাপ হবে।”
কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরোতে হবে, কী ভাবে শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যায় তার উপায় বার করতে হবে বলেও এ দিন মন্তব্য করেন ওই অর্থনীতিবিদ।
শনিবারই বিকাশবাবু মন্তব্য করেন, “আমি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সির সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত ছিলাম। ওই দুই প্রতিষ্ঠানে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি চলছে, তা নিয়ে কিছু বলে আমি আর আপনাদের সময় নষ্ট করতে চাইছি না।” দিশাহীন ছাত্র আন্দোলনের তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেছিলেন, “কলেজে কলেজে দাদাগিরি চলছে। শুধু আন্দোলনের জন্যই পড়াশোনা কার্যত লাটে উঠেছে।”
রাজ্যের তৃণমূল সরকারের অস্বস্তি বাড়িয়ে সম্প্রতি তৃণমূল সাংসদ, ইতিহাসবিদ সুগত বসুও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে অন্য কথা বলেছেন। যাদবপুরের সমাবর্তনে এক ছাত্রী আচার্য তথা রাজ্যপালের কাছ থেকে শংসাপত্র গ্রহণ করতে অস্বীকার করায় সুগতবাবু বলেছিলেন, “কাউকে অসম্মান না করে অহিংস, বিনম্র পদ্ধতিতে প্রতিবাদ জানানোর অধিকার সকলেরই আছে।”
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর আগে সুগতবাবু এবং বিকাশবাবুর মন্তব্য প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছিলেন। কৌশিকবাবুর কথারও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি তিনি।