রাজ্যে তৃণমূলের কোনও ভবিষ্যতৎ নেই বলেই ঝাড়খণ্ড তৃণমূলের সভাপতি পদের পাশাপাশি সদস্যপদও ছাড়লেন বন্ধু তিরকে। রাজ্যে তৃণমূলে যোগ দিয়ে, তার টিকিটে ভোটে লড়েই যে তাঁর ভরাডুবি হয়েছে সে কথা জানিয়ে পুরনো দল জনাধিকার মঞ্চ পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন ক্রীড়া মন্ত্রী বন্ধু।
ঝাড়খণ্ড জনাধিকার মঞ্চের শীর্ষনেতা হলেও রাজ্য-রাজনীতিতে বন্ধু তিরকের পরিচয় ‘সুযোগসন্ধানী’ নির্দল বিধায়ক হিসেবেই। এ বারেই যে তাঁর হিসেবে ভুল হয়েছিল সে কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, “চামাড়ার মতো সিদ্ধান্ত নিলেই ভাল হত। তা হলে হারতে হত না। তৃণমূলের প্রতীকে লড়েই ভুল হয়েছে।” লোকসভা ভোটের আগে বন্ধু জনাধিকার মঞ্চ ও বিষুণপুরের বিধায়ক চামাড়া লিন্ডা তার দল রাষ্ট্রীয় কল্যাণ পক্ষকে তৃণমূলের সঙ্গে মিশিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে যোগ দেন। কিন্তু ভোটে সব তৃণমূল প্রার্থীর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। বিধানসভা ভোটের আগেই চামাড়া লিন্ডা তৃণমূল ছেড়ে জেএমএমে যোগ দেন। এবং তির-ধনুক চিহ্নে দাঁড়িয়ে পুরনো আসনে জয়ী হন। বন্ধুর আক্ষেপ, চামাড়া রাজনীতির লিখন পড়তে পেরেছিল। তিনি পারেননি।
বিধানসভা নির্বাচনে বন্ধু ছাড়া তৃণমূলের সকলেরই জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। আজ বন্ধুর তোপ, “প্রস্তাব দিয়েছিলাম রাজ্যে পাঁচটি আসনে নির্বাচন লড়ার জন্য। কিন্তু মুকুলজি আর অন্য নেতাদের চাপে দশটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছিলাম। অথচ বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে শীর্ষ নেতাদের কেউ প্রচারে এলেন না। পর্যবেক্ষকও দেওয়া হল না। এমনকী আর্থিক সহায়তাও দেওয়া হল না প্রার্থীদের।”
রাজ্যে বন্ধুকে দলের রাজ্য সভাপতি করা নিয়ে ঝাড়খণ্ডের তৃণমূল কর্মীদের একাংশ ক্ষুব্ধ ছিলেন। দলের সভাপতি হয়ে বন্ধু দলকেই ডোবাচ্ছিলেন বলে অভিযোগ করেন দলীয় নেতা-কর্মীদের অনেকে। বন্ধু পলামুর আসনগুলি বাবুলালের দলকে ছেড়ে দেওয়ায় নির্বাচনের আগে তৃণমূল ছেড়েছিলেন প্রাক্তন মাওবাদী নেতা কামেশ্বর বৈঠাও।