জোড়া লক্ষ্যে জোড়া অনাস্থায় বাম-কংগ্রেস

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাড়ে তিন বছরের জমানায় এই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়। তা-ও আবার জোড়া প্রস্তাব! রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিধানসভায় আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি দলত্যাগী বিধায়কদের বিপাকে ফেলতে চাইছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস। কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৪ ০৩:১৯
Share:

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাড়ে তিন বছরের জমানায় এই প্রথম অনাস্থা প্রস্তাব আসছে বিধানসভায়। তা-ও আবার জোড়া প্রস্তাব! রাজ্য সরকারের ব্যর্থতার বিরুদ্ধে বিধানসভায় আক্রমণাত্মক ভূমিকা নেওয়ার পাশাপাশি দলত্যাগী বিধায়কদের বিপাকে ফেলতে চাইছে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস।

Advertisement

কংগ্রেস আগেই ঘোষণা করেছিল, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে তারা অনাস্থা প্রস্তাব আনবে। আগে ঘোষণা না করলেও একই রাস্তায় হাঁটছে প্রধান বিরোধী পক্ষ বামফ্রন্টও। তাদের অনাস্থা প্রস্তাব আসার কথা সোমবার। আর কংগ্রেসের প্রস্তাব আসবে তার পরের দিন, মঙ্গলবার। দু’পক্ষের অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে আলাদা আলোচনা করার সুযোগ দেবেন নাকি যে কোনও একটি প্রস্তাব গ্রহণ করবেন, সে ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন স্পিকার।

দলীয় আলোচনায় বামেরা ঠিক করেছে, কংগ্রেসের প্রস্তাব গৃহীত হলেও তাতে অংশগ্রহণ করে সরকারকে নিশানা করবেন তাঁরা। স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অনাস্থা প্রস্তাব জমা পড়লে পরিষদীয় বিধি মেনে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।

Advertisement

বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস, দু’পক্ষেরই লক্ষ্য, বিজেপি-র উত্থান নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে যখন হইচই পড়ে গিয়েছে, তখন বিধানসভার কক্ষকে সরকার-বিরোধিতার জন্য যতটা সম্ভব ব্যবহার করে নেওয়া। এই উদ্দেশ্যেই অনাস্থা প্রস্তাব এনে তারা একই সঙ্গে প্যাঁচে ফেলতে পারবে দলত্যাগী বিধায়কদেরও। কংগ্রেসের পাঁচ এবং সিপিএমের এক জন বিধায়ক সাম্প্রতিক কালে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলেও এখনও পদত্যাগ করেননি। কাগজে-কলমে তাঁরা এখনও যে দলের বিধায়ক, অনাস্থা প্রস্তাবে তাদের হুইপ অমান্য করলে তাঁদের বিধানসভার সদস্যপদ খারিজ হতে পারে দলত্যাগ-বিরোধী আইনে।

বিধানসভায় এখন বিজেপি-র একমাত্র বিধায়ক শমীক ভট্টাচার্য। তিনি কী করবেন? তিনি অন্য বিরোধীদের প্রস্তাবে অংশ নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে সরব হবেন নাকি কংগ্রেস বা বাম-সংস্রব এড়িয়ে তৃণমূলকে ‘স্বস্তি’ দেবেন? শমীক শুক্রবার সে জবাব এড়িয়ে বলেন, “আমি একা বিধায়ক, সময়ও কম। তার মধ্যেই মানুষের বিপুল প্রত্যাশা পূরণে চেষ্টা করতে হবে।”

কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা মহম্মদ সোহরাব এ দিন বলেন, “আমাদের অনাস্থা প্রস্তাব আনার উদ্দেশ্য, সাড়ে তিন বছরে সমস্ত স্তরে সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরা। তার জন্য হুইপ জারি করেছি। দলত্যাগী পাঁচ বিধায়ক হুইপ অমান্য করলে আইনি প্রক্রিয়া যা হওয়ার হবে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement