গ্রেফতার করেছিল বিধাননগর পুলিশ। তাদের কব্জা থেকে জেল-হাজতে যাওয়ার পরের দিনেই কলকাতা পুলিশের সাঁড়াশিতে আসিফ খান। সরকারি কর্মীদের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় ২৫ নভেম্বর তাঁকে শিয়ালদহ কোর্টে তোলা হবে। লালবাজার আসিফকে নিজেদের হেফাজতে চাইবে কি না, তা নিশ্চিত নয়। পুলিশি সূত্রের খবর, এ ব্যাপারে শীর্ষ স্তরের নির্দেশের দিকেই তাকিয়ে আছেন তদন্তকারীরা।
প্রতারণার মামলায় গ্রেফতারের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত আসিফ ছিলেন বিধাননগর পুলিশের হেফাজতে। ১৫ নভেম্বর রাতে তাঁকে নিয়ে তাঁর পার্ক সার্কাসের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে যান তদন্তকারীরা। বিধাননগর পুলিশের অভিযোগ, তল্লাশির সময় আসিফ এবং তাঁর স্ত্রী কর্মী-অফিসারদের বাধা দেন। এই বিষয়ে বেনিয়াপুকুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে বিধাননগর পুলিশ।
বৃহস্পতিবার আসিফকে জেল-হাজতে পাঠিয়েছে বারাসত আদালত। পুলিশ জানায়, আসিফের নামে আরও একটি প্রতারণার মামলা রয়েছে। তবে তাতে তিনি আগাম জামিন পেয়েছেন। সারদা গোষ্ঠীর আর্থিক কেলেঙ্কারিতে তৃণমূল এবং তার সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে বারবার মুখ খুলেছেন আসিফ। ‘ডাকাতরানি’ বলে কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সারদা তদন্তে সিবিআই-কে তিনি অনেক তথ্য দিয়েছেন বলে খবর। অনেকেই বলছেন, শাসক দল এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে তোপ দাগায় আসিফকে নানা ভাবে মামলায় জড়াচ্ছে পুলিশ।
আসিফ বৃহস্পতিবার বিধাননগর পুলিশের হেফাজত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই বেনিয়াপুকুরের মামলা নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে লালবাজার। শুক্রবার তাঁকে ওই মামলায় আদালতে হাজির করাতে শিয়ালদহের এসিজেএম অর্পিতা ঘোষের এজলাসে আর্জি জানানো হয়। সরকারি আইনজীবী অভিজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানান, বিচারক আবেদন মঞ্জুর করেছেন।