সারদার কার্যালয়ে আয়কর দফতরের নোটিস। —নিজস্ব চিত্র।
সারদা গোষ্ঠীর ঝাঁপ বন্ধ। প্রতারণার অভিযোগে সারদার কর্ণধার সুদীপ্ত সেন এক বছর ধরে শ্রীঘরে। এর মধ্যে তিন কোটি টাকার ৪১ লক্ষ আয়কর না-মেটানোর অভিযোগে ওই সংস্থার সল্টলেকের অফিসে নোটিস ঝুলিয়ে দিল আয়কর দফতর।
রবিবার সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে মিডল্যান্ড পার্কে সারদার মূল অফিসের ভিতরে ঢুকতেই নজরে পড়ল ওই নোটিস। তাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সারদা গোষ্ঠীর অধীন একটি মোটরবাইক প্রস্তুতকারক সংস্থার ২০০৮-’০৯ এবং ২০০৯-’১০ সালে মোট তিন কোটি ৪১ লক্ষ টাকা আয়কর বকেয়া রয়েছে। সল্টলেক পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১০ সালে হুগলি জেলার একটি মোটরবাইক ও সাইকেল প্রস্তুতকারী সংস্থা কিনে নেন সুদীপ্ত। তখন তিনি জানিয়েছিলেন, ওই সংস্থার পুরনো বকেয়ার দায়ও তাঁর। সেই জন্য ২০০৮-’০৯ এবং ২০০৯-’১০ আর্থিক বছরের আয়কর না-মেটানোর দায়ও সুদীপ্তের উপরে বর্তেছে বলে আয়কর সূত্রের খবর।
সারদা কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে ইডি-র তদন্তকারীরা এর মধ্যেই লোকসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্য আহমেদ হাসান ইমরানকেও। এ বার তৃণমূলের অন্য এক রাজ্যসভা-সদস্যকে জেরা করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রের খবর, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ওই সাংসদকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অর্পিতাকেও ফের জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে। এ ব্যাপারে রাতে অর্পিতার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তিনি ফোন তোলেননি। পরে এসএমএস করা হলে জিনি পাল্টা এসএমএসে জবাব দেন, “যাঁরা এই খবর ছড়িয়েছেন, তাঁদের কাছে খবর নিন। আমি মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলব না। কারণ, বলে কোনও লাভ নেই।”