মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। ফাইল ছবি
নিছক কোনও একটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করলেই হবে না, বিজ্ঞান চর্চার উৎকর্ষের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রকের অধীন ১৭টি বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠানকে পারস্পরিক সম্পর্ক রেখে চলতে হবে। শুক্রবার জ়ুলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া বা ভারতীয় প্রাণী সর্বেক্ষণের প্রতিষ্ঠা দিবসে এ কথা জানান ওই মন্ত্রকের মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদব। তিনি বলেন, “বিজ্ঞান চর্চার উৎকর্ষ সাধনে ও বিজ্ঞানভিত্তিক ভাবে পরিবেশ রক্ষায় কেন্দ্র বদ্ধপরিকর।”
বিজ্ঞানীদের একাংশ কিন্তু দেশে বিজ্ঞান চর্চার অগ্রগতির বিষয়ে সন্দিহান। তাঁদের মতে, মন্ত্রী ভাল কথা বলছেন। কিন্তু বিজ্ঞান চর্চায় যথেষ্ট বরাদ্দ কই? অনুষ্ঠানের ফাঁকেই প্রাণী সর্বেক্ষণের এক প্রবীণ বিজ্ঞানীর আক্ষেপ, “বছরে প্রাণী সর্বেক্ষণের বরাদ্দ কমবেশি ৮০ কোটি টাকা। তার প্রায় ৮৫% যায় বেতন খাতে। বাকি ১৫% সদর দফতর এবং বাকি ১৬টি আঞ্চলিক দফতর ভাগ করে নেয়। বিজ্ঞান গবেষণার জন্য বরাদ্দ থাকে কতটুকু?” বিজ্ঞানী মহলের বক্তব্য, টাকা ছাড়া গবেষণায় উৎকর্ষ আসবে কোথা থেকে? কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরুত্তর।
প্রাণী সর্বেক্ষণের অধিকর্ত্রী ধৃতি বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, এই প্রথম তাঁর প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হল। এ দিন প্রাণী, উদ্ভিদ, অণুজীব বিদ্যায় ট্যাক্সোনমি সংক্রান্ত গবেষণার জন্য কৈলাস চন্দ্র, অধ্যাপক মামিয়িল সাবু, অধ্যাপিকা সি শশিকলাকে ‘ই কে জানকী আম্মাল’ পুরস্কার দেওয়া হয়।