প্রতীকী ছবি।
রাতে সাইকেল চোর সন্দেহে এক যুবককে আটক করেছিল জনতা। অভিযোগ, মারধর করা হচ্ছিল তাকে। উদ্ধার করতে গিয়ে আক্রান্ত হল পুলিশ। শনিবার রাতে পশ্চিম বর্ধমানের হিরাপুরে এক জন কনস্টেবল ও তিন সিভিক ভলান্টিয়ার আহত হন। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনায় অভিযুক্ত এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গণপিটুনি রোধে সম্প্রতি বিল এনেছে রাজ্য সরকার। তবে তার পরেও বারবারই গণপিটুনির অভিযোগ উঠছে রাজ্যের নানা প্রান্তে। দিন কয়েক আগে পশ্চিম বর্ধমানেরই কুলটি ও জামুড়িয়ায় চোর ও ছেলেধরা সন্দেহে দু’জনকে মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার সন্ধ্যায় হিরাপুরের ভালাডিয়া গ্রামে সাইকেলে এক যুবককে ঘোরাফেরা করতে দেখে আটক করেন এলাকার কয়েক জন। তাঁদের দাবি, যুবকটি জানায়, তার বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে। কেন সে এই এলাকায় এসেছে, সেই প্রশ্নে অসংলগ্ন জবাব দেয়। এর পরেই তাকে স্থানীয় দুর্গামন্দিরের কাছে আটকে রাখা হয়।
খবর পেয়ে হিরাপুর থানার একটি গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আটক যুবককে গাড়িতে তোলার সময়ে বাসিন্দাদের একাংশ বাধা দেয়। ওই যুবককে সাইকেল চোর দাবি করে তাকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে মারধরের চেষ্টা করে জনতা। বাধা দিতে গেলে কনস্টেবল ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপরেও চড়াও হয় তারা। ভেঙে দেওয়া হয় পুলিশের গাড়ির কাচ। কোনওমতে যুবককে গাড়িতে তুলে এলাকা ছাড়ে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, আহতদের আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে ভর্তি করানো হয়। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের দাবি, জেরায় ওই যুবক সাইকেল চুরিতে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছে। তার কাছে একটি সাইকেল, কয়েকটি মোটরবাইকের চাবি ও সূচ-সুতো মিলেছে। তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশকে নিগ্রহেও এক জনকে গ্রেফতার ও কয়েক জনকে আটক করা হয়েছে। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (এসবি) কুমার গৌতম বলেন, ‘‘বাকি অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’