Youth

কর্মস্থলে যুবকের মৃত্যুতে প্রশ্ন, কফিনে ফিরল দেহ

ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে কর্মস্থল বিশাখাপত্তনম থেকে তাঁর ফেরার কথা ছিল আগামী শুক্রবার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বাগনান শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:৪২
Share:

সুরজিতের (ইনসেটে) দেহ মর্গে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি: সুব্রত জানা

ঘাবড়ে গিয়েছেন সকলে!

Advertisement

ভাগ্নির বিয়ে উপলক্ষে কর্মস্থল বিশাখাপত্তনম থেকে তাঁর ফেরার কথা ছিল আগামী শুক্রবার। বাগনানের বাঁশবেড়িয়া কাঁটাপুকুর গ্রামের সামন্ত পরিবারের বড় ছেলে সেই সুরজিতের (৪০) কফিনবন্দি দেহ ফিরল গত সোমবার। অ্যাম্বুল্যান্সে।

কী ভাবে মৃত্যু, তার কোনও কারণ তাঁরা জানতে পারেননি বলে ওই পরিবারের দাবি। আপাতত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের দিকেই তাঁরা তাকিয়ে রয়েছেন। সোমবারই তাঁরা পুলিশের মাধ্যমে দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠান।

Advertisement

সাত মাস আগে বিশাখাপত্তনমে একটি বেসরকারি কারখানায় কাজে যান সুরজিৎ। সোমবার ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ওই কারখানার কিছু লোকজনও এসেছিলেন। তাঁদের ঘিরে ওই পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখান। সুরজিতের ভাই অভিজিৎ বলেন, ‘‘দাদার কফিনের সঙ্গে আমাদের কিছু প্রেসক্রিপশন এবং ১৫ হাজার টাকা দেওয়া হয়। মৃত্যুর কারণ জানানো হয়নি। দাদার মৃত্যু স্বাভাবিক নয়। ২৩ ফেব্রুয়ারি ওখান থেকে আমাদের শুধু ফোনে বলা হয়, দাদা মারা গিয়েছে।’’

হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘একটি কফিনবন্দি দেহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। আমরা মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছি।’’ অভিজিৎ জানান, ওই রিপোর্ট পাওয়ার পরেই তাঁরা পদক্ষেপ করবেন। প্রয়োজনে বিশাখাপত্তমের ওই কারখানার বিরুদ্ধে মামলাও করবেন।

ওই পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরজিৎরা দুই ভাই, এক বোন। আগামী ২ মার্চ তাঁর ভাগ্নির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। বিয়ের খরচের জন্য ইতিমধ্যে ৫০ হাজার টাকাও পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সুরজিৎ। বেশির ভাগ দায়িত্বও নিজের কাঁদে তুলে নিয়েছিলেন। কিন্তু আচমকা এই ঘটনায় ভেবে কূল পাচ্ছেন না ওই পরিবারের লোকেরা। বন্ধ হয়ে গিয়েছে বিয়ে।

সোমবার কফিনবন্দি দেহটি আসার পরে মৃত্যুর কারণ জানতে ময়নাতদন্ত করাতে ওই পরিবারের লোকেরা তা নিয়ে বাগনান হাসপাতালে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ খবর দেন পুলিশে। পুলিশই মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালে পাঠায়। অভিজিৎ বলেন, ‘‘১৬ ফেব্রুয়ারি দাদার সঙ্গে শেষবার ফোনে কথা হয়। স্বাভাবিক কথা হয়েছিল।

ভাগ্নির বিয়েতে দাদা ওর তিন বন্ধুকেও আনবে বলেছিল। তার পরের দিন থেকে আর দাদাকে ফোন করে পাওয়া যায়নি।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement