কৃষি আইনের প্রতিবাদে যুব কংগ্রেসের থালি বাজাও, সরকার বাজাও কর্মসূচি (বাঁ-দিকে)। জুতো পালিশ কর্মসূচির মাধ্যমে ছাত্র পরিষদের প্রতিবাদ। —নিজস্ব চিত্র।
জোড়া কর্মসূচি নিয়ে ‘যুব দিবস’-এ পথে নামল যুব কংগ্রেস ও ছাত্র পরিষদ। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে রাস্তায় বসে থালা-বাসন বাজালেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। আর বেহাল কর্মসংস্থানের প্রতিবাদে রাজপথেই প্রতীকী জুতো পালিশ করলেন ছাত্র পরিষদের নেতা-কর্মীরা।
স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিনে কংগ্রেসের যুব ও ছাত্র সংগঠনের সর্বভারতীয় স্তর থেকেই কিছু কর্মসূচি বেঁধে দেওয়া হয়েছিল। কৃষক প্রতিবাদের সমর্থনে মঙ্গলবার ‘থালি বাজাও, সরকার জাগাও’ ডাক দিয়ে কলকাতায় বিজেপির রাজ্য দফতরের দিকে মিছিল নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে যুব কংগ্রেস। বিজেপি দফতরের কিছু আগেই মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় অবস্থানে বসেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন যুব নেতা-কর্মীরা। ওই অবস্থানে ছিলেন বিধানসভায় বিরোধী দলের সচেতক তথা প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) মনোজ চক্রবর্তী ও দলের কোষাধ্যক্ষ সন্তোষ পাঠক। প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান দাবি করেন, ‘‘লাগাতার কৃষক আন্দোলন সত্ত্বেও কেন্দ্রীয় সরকার জেদ ছাড়ছে না! সুপ্রিম কোর্টকে হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক দেশে মোদী সরকারের এমন অনাচার চলতে পারে না। কৃষি আইন প্রত্যাহার করতে হবে নয়তো মোদীকে গদি ছাড়তে হবে!’’ ধর্মতলায় টানা অবস্থান চলছে যে কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির আহ্বানে, তারাও আজ, বুধবার সর্বত্র কেন্দ্রীয় কৃষি আইনের প্রতিলিপি পোড়ানোর ডাক দিয়েছে।
পার্ক স্ট্রিটে মেট্রো রেল ভবনের বাইরে এ দিনই জুতো পালিশ করতে বসেন ছাত্র পরিষদের রাজ্য সভাপতি সৌরভ প্রসাদের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতা-সমর্থকেরা। তাঁদের বক্তব্য, লক্ষ লক্ষ বেকার ছাত্র-যুবদের কর্মসংস্থানের দাবিতেই এই প্রতীকী কর্মসূচি। সৌরভ বলেন, ‘‘বিবেকানন্দ বরাবর যে যুবদের কথা বলেছেন, তারা আজ কাজের জন্য হাহাকার করছে। মোদী এবং দিদি নানা রকম মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলেছেন। চাকরি না পেয়ে পেট চালানোর জন্য বাধ্য হয়ে শিক্ষিত যুবদের কী ভাবে উপার্জন করতে হচ্ছে, তা দেখাতেই আমাদের এই কর্মসূচি।’’