ধৃত অতনু মণ্ডল। —নিজস্ব চিত্র।
জীবিত ব্যক্তিকে মৃত বাবার পরিচয় দিয়ে ভুয়ো শংসাপত্র দেখিয়ে চাকরি হাতানোর অভিযোগ উঠল এক যুবকের বিরুদ্ধে। মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতের নাম অতনু মণ্ডল। তাঁকে কল্যাণী এনভিএফের সদর দফতর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মঙ্গলবার অতনুকে মেদিনীপুর আদালতে তোলা হয়। সরকারি আইনজীবী সৈয়দ নাজিম হাবিব বলেন, ‘‘ধৃতকে তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।’’
পুলিশ জানিয়েছে, দিন কয়েক আগে অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতরের আওতাধীন এনডিএফের চাকরি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে অতনুর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ওই চাকরি পেতে পূর্ব মেদিনীপুরের টিকরামপুর এলাকার বাসিন্দা ডালিম মণ্ডলের মৃত্যুর ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করেছিলেন অতনু। ডালিমকেই তাঁর বাবা হিসাবে পরিচয় দিয়েছিলেন তিনি।
খবর পেয়ে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন খোদ ডালিম মণ্ডল। এর পর ঘটনার তদন্তে নামে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ। নিয়োগের সময় অতনু যে নথি জমা দিয়েছিলেন সেই নথি যাচাইয়ের পর্ব শুরু হয়।
কল্যাণী থেকে অতনুকে মেদিনীপুরে নিয়ে এসে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ধরা পড়ে, একাধিক নথি নকল করেছেন তিনি। এর পরই কল্যাণী এনভিএফ হেডকোয়ার্টার থেকে গ্রেফতার করা হয় অতনুকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত অতনুর বাড়ি মেদিনীপুর শহরের তাঁতিগেড়িয়া এলাকায়। চাকরি নেওয়ার সময় নথিপত্রে ডালিমকে বাবা বলে দাবি করলেও তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ধৃতের বাবার নাম গোবিন্দ মণ্ডল। এ ছাড়া, ধৃতের বাবা কোনও দিন এনডিএফের কর্মী ছিলেন না। এর পরই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৯, ৪২০, ৪৬৮, ৪৬৯, ৪৭১, ৪৭২-সহ একাধিক জামিনঅযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে অন্য কারা জড়িত, তা জানতে ধৃতকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।