মেটিয়াবুরুজে সিএএ-বিরোধী অনুষ্ঠানে যোগেন্দ্র যাদব। —নিজস্ব চিত্র।
প্রতিবাদীরা দেশদ্রোহী নন। বরং, ‘হিন্দু-হিন্দি-হিন্দুস্তান’ তত্ত্ব হাতে নিয়ে আরএসএস এবং বিজেপিই দেশকে বিভাজনের পথে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন যোগেন্দ্র যাদব। সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (সিএএ) বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের বার্তা নিয়ে স্বরাজ পার্টির সভাপতি দেখা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও।
পিডিএসের ২০তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে শুক্রবার ইউনিভার্সিটি ইনস্টিটিউট হলে ‘নাগরিকত্ব আইন এবং ধর্মীয় বিভাজন’ শীর্ষক আলোচনায় বক্তা ছিলেন যোগেন্দ্র। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘মোদী সরকার এবং বিজেপি বলছে, প্রতিবেশী দেশে অত্যাচারিত হয়ে আসা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দিলে আপত্তি কোথায়? আমরা বলছি, অত্যাচারিতদের নাগরিকত্ব দিতে গিয়ে ধর্মীয় পরিচয় দেখা হবে কেন? সংবিধানে এমন ভেদাভেদের সংস্থান নেই।’’ ছাত্র, যুব ও মহিলারা রাস্তায় নেমে যে ভাবে প্রতিবাদ করছেন, তাকে স্বাগত জানিয়ে যোগেন্দ্রের মন্তব্য, ‘‘মোদী-শাহ তোড়েঙ্গে, হাম সব জোড়েঙ্গে!’’ সমাজতাত্ত্বিক পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিভাজনের নীতির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধের কথা বলেন। পিডিএসের রাজ্য সভাপতি সমীর পূততুণ্ড বলেন, নাগরিকত্বের প্রশ্ন গোটা দেশের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেই দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তাঁরা এই নিয়ে আলোচনা করছেন।
কলেজ স্ট্রিট থেকে বেরিয়ে দেশপ্রিয় পার্কে ভাষা দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতার সঙ্গে দেখা করতে যান যোগেন্দ্র। সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক দীনেশ ত্রিবেদী। অনুষ্ঠান থেকে বেরিয়েও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন যোগেন্দ্র। সিএএ, এনপিআর এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে সব বিরোধীর একত্র হয়ে আন্দোলনের বিষয়ে দু’জনের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তবে বৈঠকের নেপথ্যে বাংলায় আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনের অঙ্কের কথা মাথায় রাখার কথাও বলছে রাজনৈতিক শিবিরের একাংশ।
আরও পড়ুন: ‘মোদী আশ্বস্ত করেছেন, সারা দেশে এনআরসি হবে না’, বললেন উদ্ধব