Nemai Bhattacharya

সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য প্রয়াত

১৯৩১ সালে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শরশুনা গ্রামে জন্মালেও পরে পশ্চিমবঙ্গেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করেছেন এই জনপ্রিয় লেখক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ জুন ২০২০ ১৮:৫০
Share:

নিমাই ভট্টাচার্য। —ফাইল চিত্র।

প্রয়াত হলেন সাহিত্যিক নিমাই ভট্টাচার্য। বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। বৃহস্পতিবার বেলা ১২টা ১০ মিনিটে টালিগঞ্জের বাড়িতে তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। তাঁর তিন পুত্র ও দুই কন্যা বর্তমান। নিমাইবাবুর স্ত্রী ও আরও দুই মেয়ে আগেই প্রয়াত হয়েছেন।

Advertisement

১৯৩১ সালে তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার (অধুনা বাংলাদেশের) মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার শরশুনা গ্রামে জন্মালেও পরে পশ্চিমবঙ্গেই স্থায়ী ভাবে বসবাস করেছেন এই জনপ্রিয় লেখক। দেশভাগের পর তিনি কলকাতায় চলে আসেন। প্রথম জীবনে সাংবাদিকের পেশা গ্রহণ করেন নিমাইবাবু। কলকাতায় সাংবাদিকতা শুরু করলেও পরে দীর্ঘ ২৫ বছর দিল্লিতে সাংবাদিকতা করেন তিনি।

এই পেশায় থাকার সুবাদে তিনি খুব কাছ থেকে দেখেছেন সেই সময়কার রাজনৈতিক মহল এবং একই সঙ্গে গ্ল্যামারের দুনিয়াকে। সেই অভিজ্ঞতা ছায়া ফেলে তাঁর গল্পে-উপন্যাসে। তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘রাজধানীর নেপথ্যে’ প্রকাশিত হয় ১৯৬৪ সালে। পরে লেখালেখিকেই পুরো সময়ের পেশা হিসেবে নেন। একটা দীর্ঘ পর্বে বাঙালির পড়ার খিদেকে মিটিয়েছে নিমাই ভট্টাচার্যের রচনা।

Advertisement

আরও পড়ুন- ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত প্রায় ১৭ হাজার, মোট মৃত্যু ১৫ হাজার ছুঁইছুঁই​

আরও পড়ুন- আর শুধুই ইসরো নয়, ভারতে এ বার রকেট বানাতে পারবে বেসরকারি সংস্থাও​

উপন্যাস, ছোট গল্পের বাইরে নিমাইবাবু লিখেছেন ‘বিপ্লবী বিবেকানন্দ’র মতো বইও। বাংলায় ‘জনপ্রিয় লেখক’ বলতে যা বোঝায়, নিমাই ভট্টাচার্য ছিলেন আক্ষরিক অর্থেই তা-ই। তাঁর লেখা উপন্যাসের সংখ্যা ১৫০-এরও বেশি।

‘মেমসাহেব’, ‘এডিসি’, ‘রাজধানী এক্সপ্রেস’, ‘গোধূলিয়া’— একের পর এক উপন্যাস এক সময়ে বাঙালির অন্দরমহলকে মাতিয়ে রেখেছিল। ১৯৭২ সালে তাঁর উপন্যাস থেকেই নির্মিত হয় পিনাকী মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ছবি ‘মেমসাহেব’। উত্তমকুমার, অপর্ণা সেন অভিনীত সেই ছবি আজও বাংলা সিনেমার রোম্যান্টিক পর্বের মাইলফলক।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement