শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ফাইল ছবি।
হাই কোর্টের নির্দেশে এক ধাক্কায় ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি কর্মীকে ছেঁটে ফেলতে হচ্ছে স্কুলগুলিকে। তার কোনও প্রভাব কি স্কুল পরিচালনায়, বিশেষত ছাত্রছাত্রীদের উপর পড়বে? সামনে মাধ্যমিকের মতো বড় পরীক্ষা। এই ধরনের পরীক্ষার আয়োজনের একটা বড় অংশের কাজ এই কর্মীদের সাহায্যেই হয়। এই পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের নির্দেশে কতটা অসুবিধার মুখোমুখি হতে চলেছে স্কুলগুলো? শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কাছে এর কোনও স্পষ্ট জবাব মিলল না। যদিও আপাতত অসুবিধায় পড়া স্কুলগুলির সঙ্গে সব রকম সহযোগিতা করার কথা মাথায় রেখেই এগোচ্ছে শিক্ষা দফতর।
রাজ্যের বহু স্কুলেই গ্রুপ ডি কর্মীর সংখ্যা থাকে ন্যূনতম। এমনকি, এমন অনেক স্কুল আছে, যেখানে এক জন মাত্র গ্রুপ ডি কর্মীকে দিয়েই কাজ চালানো হয়। এর মধ্যে আবার অনেক স্কুলেই মাধ্যমিক পরীক্ষার কেন্দ্র হিসাবে মনোনীত হয়েছে। হাই কোর্টের সিদ্ধান্তে সেই স্কুলগুলির এ বার কী অবস্থা হবে? জানতে চাওয়া হয়েছিল শিক্ষামন্ত্রীর কাছে। ব্রাত্যের মতে, তিনি নিশ্চিত, মাধ্যমিক পরীক্ষা যারা নেবে সেই মাধ্যমিক বোর্ডের কাছে এর কোনও না কোনও বিকল্প ব্যবস্থা থাকবে।
এ প্রসঙ্গে, মাধ্যমিক পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘যে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশিকা আপলোড করা হয়েছে, তার মধ্যে ৪৫৮টি জুনিয়র হাইস্কুল। আমাদের ৯,৯৭১টি মাধ্যমিক স্কুল আছে। এর মধ্যে ২৮৬৪টি মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দফতরের সঙ্গে বিশদে পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা করছি। পরীক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করতে সমস্ত রকমের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’