সোমবার বর্ধমানে আসেন রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজা। ফাইল ছবি।
পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী নির্বাচনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামপুরের প্রবীণ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। রবিবার ইসলামপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় হাজির হননি নিজেকে ‘বিদ্রোহী বিধায়ক’ ঘোষণা করা করিম। সোমবার বর্ধমানে আসা রাজ্যের নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজাকে এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘‘উনি প্রবীণ নেতা। যা কথা আছে মুখ্যমন্ত্রীকে বলবেন। সবটাই স্বচ্ছ ভাবে হচ্ছে। সবারই মতামত নেওয়া হবে। আনুষঙ্গিক সমস্ত বিষয় দলীয় স্তরে দেখা হবে।’’
প্রার্থী নির্বাচনের প্রক্রিয়া ঘিরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় যা ঘটেছে, তা মানুষের ‘উৎসাহ’ ও ‘কৌতুহলের’ বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন শশী। তিনি জানান, এই প্রথম একটি কর্মসূচির মাধ্যমে মানুষকে বলা হচ্ছে, তাঁরা নিজেরাই প্রার্থী চয়ন করবেন। এ নিয়ে মানুষের উৎসাহের পাশাপাশি কৌতুহলও রয়েছে। অপছন্দের প্রার্থী যাতে না থাকেন, তা দেখতে চান অনেকেই। প্রার্থী না পেয়ে বিরোধীরা এ নিয়ে বিতর্ক চাইছে। তৃণমূল তাতে বিচলিত বা বিব্রত নয়।
মালদহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বহু তৃণমূল নেতা-কর্মী তাদের দলে যোগ দিয়েছেন বলে দাবি কংগ্রেসের। শশীর মন্তব্য, বিষয়টি তাঁর জানা নেই। তাঁরা যেখানে ভাল থাকবেন, সেখানেই থাকুন। এতে দলের কাজ ব্যাহত হবে না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূল ২৪০ আসন পাবে বলে দাবি অভিষেকের। শশীরপ্রতিক্রিয়া, বিরোধীরা যত নেতিবাচক প্রচার করছেন, ততই তৃণমূলেরআসন বাড়ছে।