প্রতীকী ছবি।
বিবাহিত জীবন স্বাভাবিক হয়নি। দাম্পত্য এসে ঠেকে ভাঙনের মুখে। কারণ, বছর পঁচিশের তরুণীর যোনিদ্বারই তৈরি হয়নি।
ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞেরা অস্ত্রোপচার করে তরুণীর যোনিদ্বার তৈরি করেন। ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সহকারী অধ্যক্ষ রমাপ্রসাদ রায় বলেন, ‘‘জেলা হাসপাতাল থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উন্নীত হওয়ার পরেই এমন জটিল অস্ত্রোপ্রচার সফল হয়েছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের উন্নতি হয়েছে বলেই তা সম্ভব হয়েছে।’’
চিকিৎসকেরা জানান, ডায়মন্ড হারবার এলাকার বাসিন্দা ওই তরুণীর কখনও ঋতুস্রাবই হয়নি। শারীরিক সমস্যা মেটাতে বহু চিকিৎসা হয়। কিন্তু সুস্থ হননি। উনিশ বছর বয়সে বিয়ের পরে সমস্যা আরও জটিল হয়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সহজ সম্পর্কই গড়ে উঠছিল না। তার জেরে তরুণীর উপরে নির্যাতনও কম হয়নি।
মাস দু’য়েক আগে ফের ওই তরুণী ডায়মন্ড হারবার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আসেন। স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞদের একটি দল নানা পরীক্ষা-নীরিক্ষা করেন। পরে জানা যায়, জন্ম থেকেই যোনিদ্বার ও জরায়ু নেই তাঁর। চিকিৎসার পরিভাষায় এই রোগকে বলা হয় ‘মুলেরিয়ান এজেনেসিস’।
স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ সোমাজ্জিতা চক্রবর্তী, মানসকুমার সাহা ও নিতা রায় অস্ত্রোপচারের উদ্যোগ করেন।ক’দিন আগে অস্ত্রোপচার। কয়েক দিন হাসপাতালে রেখে ছুটি দেওয়া হয় তরুণীকে। সোমবার প্রথম চেক আপের দিন ছিল। পরিবারের সঙ্গে হাসপাতালে আসেন তরুণী। স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই চিকিৎসকদের ভূমিকায় খুশি। জানিয়ে গিয়েছেন, দাম্পত্যের স্বাভাবিক মেলামেশায় এখন কোনও সমস্যা নেই।
তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যোনিদ্বার তৈরি করা হলেও জরায়ু না থাকায় প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তানধারণ করতে পারবেন না মহিলা।