নিজস্ব চিত্র।
ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল বীরভূমের রামপুরহাটের বাসিন্দা জামনাতোর বিবির(৮৬)। ওই জেলারই নলহাটিতে তৃপ্তি দত্ত নামে আরও এক জনের দেহে এই ফাঙ্গাসের উপসর্গ ধরা পড়েছে। এই প্রথম ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ ধরা পড়ল বীরভূমে। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন জামনাতোর বিবি। রামপুরহাটে কোভিড হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল তাঁর। তার পর সুস্থ হয়ে বাড়িতেও ফিরে যান। কিন্তু কিছু দিন পর ফের অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তার পর সেখান থেকে ফের রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসা হয় জামনাতোরকে। সেই সময় তাঁর শরীরে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ ধরা পড়ে। তাঁর পরীক্ষা করা হলে গত ২৬ মে রিপোর্টে জানা যায় জামনাতোর ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত।
রামপুরহাট স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রবীন্দ্রনাথ প্রধান জানান, কোভিডের পর ওই বৃদ্ধার দেহে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। তাঁর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে গিয়েছিল। তা ছাড়া ওই বৃদ্ধা অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত ছিলেন। জামনাতোর বিবির মৃত্যু হলেও, আর এক আক্রান্ত তৃপ্তি দত্ত শারীরিক ভাবে সুস্থ আছেন বলে জানা গিয়েছে। তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি আছেন।
রাজ্যে শনিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ৫ জন। এ নিয়ে এই রোগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ২৩। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, শনিবার নতুন যে পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাঁদের মধ্যে এক জন বিহার, অন্য জন ওড়িশার বাসিন্দা। শনিবার ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে মৃত্যু হয়েছে এক জনের। এই নিয়ে রাজ্যে এই রোগে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩। তবে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর শনিবার যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে বীরভূমের জামনাতোরের নাম নেই।
(‘মিউকরমায়োসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আমজনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। সেই কারণেই আনন্দবাজার ডিজিটাল সাধারণ ভাবে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামটি ‘মিউকরমায়োসিস’-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। অজ্ঞানতাবশত নয়।)